৩০ মে-র মধ্যে সব দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা টানতে সব সরকারি বাস মিষ্টি হাবে দাঁড়াবে বলে বিক্রেতাদের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
মিষ্টির কথা বললেই উঠে আসে বর্ধমানের নাম। শতাব্দী প্রাচীন জমজ মিষ্টি সীতাভোগ-মিহিদানা তো আছেই, পাশেই আছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা। ছানা এখানে সহজলভ্য হওয়ায় এই শহরে রসগোল্লা সন্দেশ সহ আরও অনেক মিষ্টিই রসনায় জল আনে।
advertisement
আরও পড়ুন- বৃষ্টি হলেই লোকালয়ে দেখা মিলছে কচ্ছপের! আশাবাদী প্রাণীবিদরা
এই শহরেই সাধের মিষ্টি হাব গড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব সেরা মিষ্টি সেখানে ঠাঁই পাবে - পরিকল্পনা ছিল তেমনটাই। সেই মিষ্টি হাব এখন বন্ধ। বার বার চেষ্টা করেও তা চালু রাখা যায়নি। ফের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিষ্টি হাব চালুর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
এই রাজ্যের মিষ্টিতে বৈচিত্র্যের সমাহার। বিভিন্ন জেলা বিখ্যাত উৎকৃষ্ট সব মিষ্টির কারণে। সব মিষ্টিকে এক ছাতার তলায় এনে তা ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপিত করার লক্ষ্যেই বর্ধমানে মিষ্টি হাব গড়তে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়। বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরে দু নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় মিষ্টি হাব। বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা থেকে শুরু করে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কৃষ্ণনগরের,সরপুরিয়া, নবদ্বীপের দই, জয়নগরের মোয়া, কলকাতার রসগোল্লা- সবেরই স্টল বসে।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন। কিন্তু কোনওদিনই সেই মিষ্টি হাব ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি। যার জেরে মিষ্টি হাবের পঁচিশটি দোকানের সব কটিই এখন তালাবন্ধ।
আরও পড়ুন- নানা স্বাদে মাখা চটপটা ফুচকা, ক্যাফেতে তার সঙ্গে লাইভব্যান্ড
এখন প্রশাসন মিষ্টি হাবে সব বাস দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। বাস দাঁড়ালে ক্রেতার অভাব হবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।