বারাসতে পুরনো কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম কাঠোর রোডের এই ডাকাত কালীবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, এই কালী মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রঘু ডাকাতের নাম। এখানে নেই কোনও প্রতিমা, আছে অশ্বত্থ গাছ। যা আনুমানিক ৪০০ বছরেরও পুরনো, গাছ-ই এখানে পুজিত হয়, তবে কোনও পুরোহিত দিয়ে নয়।
advertisement
এখানে পুজো দেবেন বলে মনে করলে, মা এর কাছে এসে মনস্কামনা মাকে জানিয়ে, নমস্কার করে মোমবাতি ধুপকাঠি জ্বালিয়ে নিজেকেই করতে হয় পুজো। বর্তমানে বারাসত পুরসভা থেকে কালীমন্দির চত্ত্বর পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলেও, এর বেশি আর সংস্কার করতে চান না কেউই। কারণ প্রাচীন এই মন্দির বা গাছে কোনওরকম আঘাত লাগলেই ঘটতে পারে সর্বনাশ আশঙ্কা করেই তাই পুরনো একই রকম ভাবেই রয়ে গিয়েছে রঘু ডাকাতের এই আস্তানা।
একজন সেবায়েত আছেন, তিনি সকালে গেটের তালা খুলে দেন, আবার বিকেলে বন্ধ করেন। শোনা কথা অনুযায়ী, একসময় রঘু ডাকাত এই মন্দির থেকেই পুজো করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হতেন। আবার ডাকাতি করে তার দলবল নিয়ে এই মন্দিরেই ফিরে আসতেন। এটাই ছিল তার প্রধান আস্থানা। বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ডাকাত কালীবাড়িতে একসময় এলাকায় মানুষজন আসতে ভয় পেতেন।
তবে আজ চিত্রটা সম্পুর্ন বদলে গিয়েছে। এখনও দূরদূরান্তের মানুষের কাছে এই ডাকাত কালীবাড়ি একই রকম জাগ্রত। তবে প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে বলেই মনে করেন স্থানীয়রা। মন্দিরটি ছাদ বলতে অশ্বত্থ গাছের শিকড়। ইটগুলি রঘু ডাকাত-সহ তাঁর দলবলই কাঠের ডাইস বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিল সেই সময় বলে জানা যায়, এটি জেলার অন্যতম প্রাচীন কালী মন্দির। কালী পুজোয় এখানেই হয় বিশেষ যোগ্য বলির আয়োজন।
রুদ্র নারায়ণ রায়