ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর একাধিকবার ওই শিক্ষক যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক।
advertisement
স্কুলের মধ্যেই দিনের পর দিন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমানের তেজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে।অভিযোগ জানিয়েও স্কুলের তরফে কোনো প্রকার সদুত্তর না মেলার অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা চড়াও হন স্কুলে।মারমুখী অভিভাবকদের হাত থেকে কোনো মতে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
অভিভাবকদের অভিযোগ,স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করার পাশাপাশি তাকে নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতো স্কুলেরই এক শিক্ষক।এমনকি কাউকে বিষয়টি জানালে তাকে মারধরের হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ।
গত ২ এপ্রিল তা মারাত্বক আকার ধারণ করলে ছাত্রী তার পরিবারকে জানাতেই পরিবারের তরফে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়। অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া দূরের কথা, উল্টে ছাত্রীকে তারপরও হুমকি দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক।
এরপরই আজ অভিভাবকরা যৌথভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়।স্কুলের তরফে কোনো প্রকার সদুত্তর না পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে উদ্যত হয় অভিভাবক ও স্থানীয়দের একাংশ। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছে মারমুখী জনতার কাছ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। ওই শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষক অভিভবকের মতো। তাই ওকে শাসন করেছি। আবার ভালোবেসে মাথায় হাতও রেখেছি। এর বাইরে কিছু নয়।