বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ৩ জন চুপিচুপি ঢুকেছিল পশ্চিমবঙ্গে, এমন এক 'খেলায়' মাতল তারা, ফাঁস হতে গোটা দেশ তাজ্জব!

সীমান্ত পেরিয়ে আসা তিন অচেনা মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের এক ঘটনার সূত্র ধরে গোপনে আসে বিশেষ নির্দেশ। দিল্লির অন্দরমহলে জমে ওঠে এক নিঃশব্দ ষড়যন্ত্র—যার সূত্রপাত হয়েছিল অনেক আগেই। (Representative Image: AI generated) 

শহরের প্রান্তে, জনবহুল বাওয়ানা এলাকায় বছরের পর বছর ধরে যারা ছিল ছদ্মবেশে, সেই তিন মুখোশপরা মানুষের পরিচয় ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। ঘটনাটি যেন গোটা দেশের নিরাপত্তাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল। কী সেই রহস্য, কী সেই চক্রান্ত—উত্তর মিলল ধীরে ধীরে। (Representative Image: AI generated) 

বড়সড় চক্রান্তের পর্দাফাশ করল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন বিদেশি নাগরিককে। জানা গিয়েছে, ওই তিনজন বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। এরপর তাঁদের ভুয়ো নথি তৈরি করা হয় পশ্চিমবঙ্গে। পরে তাঁরা চলে আসে দিল্লিতে এবং সেখানে বাস করতে শুরু করে। (Representative Image: AI generated) 

গ্রেফতার হওয়া তিন অভিযুক্তের নাম মুস্তাক (৭২), শাহিদ খান (২৮) ও মিন্টু (৩২)। পুলিশ সূত্রে খবর, এএসআই কনওয়ার পালের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে দিল্লির বাওয়ানার জেজে কলোনিতে কিছু ব্যক্তি বেআইনিভাবে বসবাস করছে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। (Representative Image: AI generated) 

প্রথমে নিজেদের ভারতীয় বলেই দাবি করে অভিযুক্তরা। তাঁরা বৈধ নথি দেখিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই বোঝাতে চায়। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, তাঁদের সমস্ত নথিই ভুয়ো। এরপর কড়া জেরা করা হলে অভিযুক্তরা স্বীকার করে নেয়, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছিল তারা। তারপর পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের সাহায্যে জন্মসনদ, আধার কার্ড ইত্যাদি জাল নথি তৈরি করায়। (Representative Image: AI generated) 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, দিল্লির একাধিক জায়গায় থাকার পর অবশেষে তারা বাওয়ানার জেজে কলোনিতে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে এবং নিজেদের এলাকাতে প্রপার্টি ডিলার হিসেবে কাজ করছিল।  (Representative Image: AI generated) 

তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন ধারা অনুযায়ী BNS-এর ৩১৮(৪)/৩৩৬(৩)/৩৪০(২)/৬১(২) এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। (Representative Image: AI generated) 

শহরের প্রান্তে, জনবহুল বাওয়ানা এলাকায় বছরের পর বছর ধরে যারা ছিল ছদ্মবেশে, সেই তিন মুখোশপরা মানুষের পরিচয় ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। ঘটনাটি যেন গোটা দেশের নিরাপত্তাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল। কী সেই রহস্য, কী সেই চক্রান্ত—উত্তর মিলল ধীরে ধীরে। (Representative Image: AI generated)