স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১১ এপ্রিল পিসতুতো দিদির বাড়িতে জামাইবাবুর সঙ্গে চড়ক পুজো উপলক্ষ্যে বেড়াতে আসে নাবালিকা। পরে নাবালিকার পিসি সহ পরিবারের অন্যান্যরাও চড়ক পুজোর অনুষ্ঠানে আসেন।
গত বুধবার পরিবারের অন্যান্যরা বাড়িতে ফিরে গেলেও নাবালিকা তার পিসির সঙ্গে দিদির বাড়িতে থেকে যান।
অভিযোগ, চড়ক পুজোর রাতে ওই নাবালিকার গা থেকে মদের গন্ধ পায় পিসি। তাই পিসি ওই নাবালিকাকে প্রথমে চড় মারে। পরে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে গ্রিলে তালা মেরে দেয়। কিছু সময় পর পরিবারের সদস্যরা গ্রিলের তালা খুলে ঘরে ঢুকে দেখেন নাবালিকা যেই ঘরে ছিল সেই ঘর ভিতর থেকে ছিটকানি দিয়ে আটকানো।
advertisement
বাইরের জানালা দিয়ে পরিবার ও অন্যান্যরা দেখেন নাবালিকা ঘরের পাখার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে মেলার উপস্থিত স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা নাবালিকাকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হারের কারণ 'অঙ্ক'! বালিগঞ্জ ছিলই না, আসানসোল আবার হবে, বলছেন সুকান্ত মজুমদার
এই ঘটনায় মৃত নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে। পরে গত ১৫ তারিখ রাতে নতুন করে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ধর্ষণ, খুন ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন CPIM-এর সায়রা, প্রথমে বাবুল, উড়ে গেল BJP!
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুজন পুরুষ ও একজন মহিলা।
ধৃতদের আজ রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়। ইতিমধ্যেই মৃত নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে ময়না তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে। এদিন সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।