আরও পড়ুন: মাঠে নেমে কৃষকদের সঙ্গে কী করছেন এই সাংসদ!
কাকদ্বীপ নদীমাতৃক এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছোট থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরা দেখেছে ওই শিশু। সেই মাছ ধরার জালে মাঝে মধ্যেই জড়িয়ে পড়ে সাপ। অধিকাংশ সময়ে জালে জড়িয়ে পড়া সাপের মৃত্যু হয়। এদিকে সাপকে বাঁচানো প্রয়োজন এই কথা সে পাঠ্য বইয়ে পড়েছে। আর তাই সাপ বাঁচাতে জাল থেকে কেউটের বাচ্চাকে ছাড়িয়ে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে ফেলে। এরপর সাপ নিয়ে কী করবে বুঝতে না পেরে সাপটিকে নিয়ে সোজা কাকদ্বীপ থানায় ঢুকে পড়ে ওই নাবালাক। তা দেখে থানার মধ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ওই সময় থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার জারটি দেখেই হতবাক হয়ে যান। ছোট বাচ্চার হাতে প্লাস্টিকের জার, আর সেই জারের মধ্যে রয়েছে ছোট একটি কেউটে সাপের বাচ্চা। খবর পেয়েই নিজের রুম থেকে বেরিয়ে আসেন কাকদ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শিবু ঘোষ। তিনি ছোট বাচ্চাটিকে একটি জায়গায় বসতে দেন এবং প্লাস্টিকেটির জারকে দূরে সরিয়ে রাখেন। সেই সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি। তাঁরা ছোট বাচ্চাটির কাছে জানতে চান, সাপটি কেন থানায় নিয়ে এসেছে। উত্তরে সে জানায়, সাপটি জালে জড়িয়ে গিয়েছিল। সাপটিকে কোথায় ছাড়বে বুঝে উঠতে পারছিল না। এমনকি সাপটিকে তার মেরে ফেলারও ইচ্ছে ছিল না। তই সাপটিকে জারে ভরে সোজা থানায় চলে এসেছে। ছোট বাচ্চার মুখে এমন কথা শুনে হতবাক হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। প্রত্যেকেই তাঊকে বাহবা দেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। পরে বনকর্মীরা কাকদ্বীপ থানায় এসে ছোট ওই কেউটে সাপের বাচ্চাটিকে নিয়ে যান। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ক্রমশই পরিবেশ নিয়ে সচেতন হচ্ছে শিশুরা।
নবাব মল্লিক