প্রথমে মন্ত্রী ক্লাসে ঢুকে পড়ুয়াদের সঙ্গে আদিবাসী ভাষায় কথা বলেন। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী অঞ্জলি মুর্মু, দুলালী হাঁসদা, চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া মনিকা মান্ডি সুরোজমনি টুডু , তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা মুখী মুর্মু ও রানী সরেনরা স্কুল চত্বরে থাকা ফুল এনে হেয়ারবেন্ড বানিয়ে মন্ত্রীকে পরিয়ে দেন।
advertisement
পঞ্চম শ্রেণির বাবুলাল হাঁসদা, বুড়ান মুর্মু ও সাগুন কিস্কুরা গোলাপ ফুল এনে মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। তারপর আদিবাসী পড়ুয়ারা মন্ত্রীকে গান শোনান । পরে মন্ত্রী বাচ্চাদের আঁকার খাতা, রং, পেনসিল ও চকলেট বিতরণ করেন।শেষে মন্ত্রী মাটিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে থালায় মিড-ডে মিল খান। স্কুলে মিডডে মিলে রান্না হয়েছিল ভাত, ডাল, আলু পটলের তরকারি ও সেদ্ধ ডিম, সেই খাওয়ার মন্ত্রীও বাচ্চাদের সঙ্গে খান। খাওয়ার সময় বাচ্চাদের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করেন মন্ত্রী।তাদের সাথে আনন্দ উপভোগ করে নেন।
নিজের খাওয়া হয়ে গেলে স্কুলের পড়ুয়াদের মতমন্ত্রীও ট্যাপ কলে গিয়ে নিজের থালা ধোয়েন।মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিনপুর-১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণিমা মুর্মু। এদিন স্কুলের শিক্ষকরা মন্ত্রীকে স্কুলের প্রাচীর নির্মানের কথা লিখিত ভাবে জানালে মন্ত্রী তার তহবিল থেকে নির্মাণের আশ্বাস দেন। খুদে পডুয়াদের আগামী সপ্তাহে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল চিড়িয়খানায় ঘোরাতে নিয়ে যাবেন বলে আশ্বাসও দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাচ্চাদের হাতের বানানো ফুলের তোড়া ও ফুল দিয়ে বানানো হেয়ারবেন্ড পরিয়ে দিয়েছে। এতে আমি আপ্লুত। স্কুলের উন্নতির জন্য প্রাচীর সহ যা যা করা প্রয়োজন, তা আমি করব। পড়ুয়াদের সঙ্গে খুব ভালো মিড-ডে মিল খেয়েছি। সুন্দর রান্না হয়েছিল।’’ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়া সকলেই।
বুদ্ধদেব বেরা