হাওড়া জেলার উত্তর-পূর্ব হয়ে দক্ষিণে বয়েছে নদী। অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিম হয়ে দক্ষিণে বয়েছে নদী। জেলার তিনদিক নদী বেষ্টনী। হাওড়ার বালি, বেলুড়, মধ্য হাওড়া শিবপুর, সাঁকরাইল হয়ে গ্রামীণ হাওড়া অর্থাৎ উলুবেড়িয়া। এখানে উলুবেড়িয়ার বাউড়িয়া থেকে জগদীশপুর হয়ে ৫৮ গেট শ্যামপুর পৌঁছেছে হুগলি নদী। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উলুবেড়িয়া পৌরসভার জগদীশপুর বাঁশতলা এলাকা। যদিও জোরকদমে মেরামতির কাজ চলছে। এখানে নদী ভাঙন ভয়ঙ্কর। অন্যদিকে বাউড়িয়ার একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল।
advertisement
নদী তীরবর্তী এলাকা বা বাঁধ ভাঙনের মত কোনরকম সমস্যা দেখা দিলে তৎপরতার সঙ্গে প্রশাসন কাজে করছে। কিন্তু নদীর চরিত্রের দিক থেকে ভয়ঙ্কর স্থানে উলুবেড়িয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নূরপুরে নদী সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনে গিয়ে উলুবেড়িয়ার সাংঘাতিক পরিস্থিতির কথা জানান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
উলুবেড়িয়ার মাথায় ঝুলছে বিপদের খাঁড়া
নদীমাতৃক বাংলায় নদীর জেলা হাওড়া। এই জেলা ছুঁয়ে এবং জেলার মাঝখান হয়ে হুগলি, দামোদর, রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী, কৌশিকী ও সরস্বতী নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর পাড়ে কলকারখানা, ইট ভাটার পাশাপাশি জেলার অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্রই নদীকেন্দ্রিক। কৃষিকাজ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই জেলায় নদীর অবদান অপরিসীম। কিন্তু এই নদীর প্রভাবে বিপদের আশঙ্কা উলুবেড়িয়া শহরে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এবং ভেঙে পড়া জেটিঘাট পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী মানুষ ভূঁইয়া জানান, প্রাকৃতিক কারণে নদীর বাঁধ এবং নদী সংলগ্ন স্থান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তেমনই সঠিক পথে নদীতে জলযান না যাবার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী ভূমি ও বাঁধ। নদীর প্রভাবে ভয়ানক পরিস্থিতি উলুবেড়িয়ায়। তিনি আরও জানান, আগামী দিনে উলুবেড়িয়া পৌরসভার অস্তিত্ব থাকবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।