পাশাপাশি মীনাক্ষী বলেন, তাঁদের সভার অনুমতি দেওয়া না হলে তাঁরা প্রয়োজনে পারমিশন ছাড়াই সভা করবেন। এমনকি মঞ্চ বাঁধতে না দিলেও মঞ্চ ছাড়াই সভা করবেন এবং মাইক বাঁধতে না দিলে কাধে মাইক নিয়ে তারা সভা করবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মীনাক্ষী বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাঠি নিয়ে এলে আমিও শুধু ঝাণ্ডা নিয়ে নয়, ডাণ্ডা নিয়ে যাবো। সমানে সমানে লড়াই হবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় টানা ১১দিন ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, উদ্যোক্তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিলে 'সুখবর'!
পাশাপাশি তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'সব পুলিশকে সাবধান করছি, তৃণমূলের দালালি করে ভুলেও কমরেডদের গায়ে হাত দেবেন না। ছেলে ছোকরাদের রক্ত গরম থাকে, কী হবে তার দায় আমরা নেবো না।' আজ ডিওয়াইএফআই এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বর থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিল শেষে কার্জন গেটে পথসভা করেন রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে বামপন্থীরা।। পাশাপাশি, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন,যে দলটির স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভূমিকা নেই তারাই স্বাধীনতার 'অমৃত মহোৎসবের' নামে দেশ ভক্তির পাঠ শেখাতে চাইছে। হিন্দু- মুসলমানের নামে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে আত্মত্যাগ করেছেন দেশের মানুষ। আর এখন ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদ একে একে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান! সাতের বদলে ১৩ সেপ্টেম্বর 'জেল ভরো অভিযান', কেন পিছল দিন?
অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, 'রাজ্যে এখন মেধা বঞ্চিত হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। শাসকদলের ঘনিষ্ট হলে তবেই চাকরি পাওয়া যাচ্ছে।'
অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতার সমালোচনা করার মতো নিচু মানসিকতা বামপন্থীদের নেই। অনুব্রত মণ্ডল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই সুকন্যা মণ্ডলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনটায় কেবল সুকন্যা মণ্ডলেরই নয়, তিনি যে স্কুলে চাকরি করতেন সেই স্কুলের পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।'