শনিবার লালগোলার সারপাখিরা গ্রামে আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী আবদুর রহমানের বাড়িতে এসে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মীনাক্ষী। সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করে আবদুর রহমান। তার মৃত্যুর পর সাত পাতার সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। অভিযোগ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তদন্তে এগোচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে আগামী ২৯ অক্টোবর লালগোলা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন মীনাক্ষী।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতের চন্দননগরে হঠাৎ হাজির পুলিশ সুপার, শুরু নাকা চেকিং! হলটা কী? শোরগোল
আবদুর রহমানের ময়নাতদন্ত না করেই মৃতদেহ কবর দিয়ে দেন পরিবারের লোকেরা। এরপরেই আবদুর রহমানের লেখা সাত পাতার সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসে। আর তারপরেই লালগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবা মফিজুদ্দিন সেখ। পুলিশ রেহেসান সেখ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। এরপরেই লালবাগ আদালতের বিচারকের নির্দেশে কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। আবদুর রহমান সুইসাইড নোটে বেশ কয়েকজনের নামও লিখে রেখে যায়। কিন্তু অভিযোগ লালগোলা থানার পুলিশ তদন্ত এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। মৃতের বাবা মফিজুদ্দিন সেখ বলেন, ''এখনও অভিযুক্তরা অধরা। পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না। থানায় গেলে উল্টে পুলিশ আমাকে হুমকি দিচ্ছে যে, আমাকে জেলে ভরে দেবে। আমি চাই আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।''
আরও পড়ুন: কোথায় বর্ষা বিদায়, চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহ নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
এদিন আবদুর রহমানের বাবা মফিজুদ্দিন সেখের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''১৯ দিন হয়ে গেলেও অভিযুক্তরা এখনও অধরা। আবদুর রহমান যাদের নাম সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গিয়েছেন, পুলিশ তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আগামী ২৯ অক্টোবর লালগোলা নতুন বাসস্ট্যান্ডে সকলে একত্রিত হয়ে আবদুরের খুনের ইনসাফ চাইতে লালগোলা থানায় অভিযান করব।''