বোলপুরের শিবপুর মৌজায় শিল্পের নামে বাম আমলে ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু হয়নি শিল্প৷ রাজ্যে পালাবদলের পর শিল্পের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে দেখা গেল শিল্পের বদলে এখানে আবাসন প্রকল্প হল৷ আর এতেই বেঁকে বসেন জমিদাতা চাষিরা৷ তাদের স্পষ্ট দাবি, প্রথম থেকেই শিল্প হলে জমি দেব৷ না হলে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, শিল্প হলে কর্মসংস্থান হবে৷ তাই জমি ফেরতের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শিবপুরে জমি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত কন্যা! ইডি-কে যা বললেন, তোলপাড় বাংলা
অন্যদিকে, দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মানুষজন। তাদেরও স্পষ্ট বক্তব্য, এই প্রজন্ম না হয় জমি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে চাকরি পাবে, টাকা পাবে৷ পরবর্তী প্রজন্ম কী করবে? এদিন, বোলপুরের শিবপুরে জমি বাঁচাও আন্দোলনকারীদের নিয়ে পথসভা করে বাম-কংগ্রেস। ছিলেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান সহ অন্যান্যরা৷
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "শিল্প করতে হবে। কারখানা চাই। কারখানা, শিল্প না হলে আমরা এখানে বাবুর বাগান বাড়ি বানিয়ে ফুর্তি করতে দেব না। 'অপা' বানাতে দেব না। কচি কচি বান্ধবীদের নিয়ে ফুর্তি করতে দেব না। বেআইনি মদ আর বেআইনি মেয়েদের নিয়ে ব্যবসা করতে দেব না। আমরা চাই কাজ। আমরা মাথা উচু করে বেঁচে থাকতে চাই।" তিনি আরও বলেন, "তিহার জেলে গিয়েছে এক নেতা৷ পিছন পিছন মেয়েটাকেও ডেকে ঢুকিয়ে দিয়েছে পাশের সেলে। ওর মেয়ের (অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা) দোষ নেই৷" পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "অনুব্রত মণ্ডলের এই অবস্থা হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। সিস্টেম দায়ী। মানুষ খেকো বাঘকে মেরে তাড়াতে হবে৷"
আরও পড়ুন: সোমবার কে আসছেন সিবিআই দফতরে? বিরাট শোরগোল! শিকড় খুঁজতে 'বড়' তলব
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থী দেবে বামেরা৷ এমনকি, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে সিপিআইএম, জানালেন বাম নেত্রী। শিবপুরের পথসভা শেষে একই ভাবে দেউচাতে সভা করে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ খনি বিরোধী মানুষজনকে নিয়ে সভা করেন তাঁরা৷