আরও পড়ুন: তন্ময় বোসের কাছে তবলার প্রশিক্ষণ! বিরাট সুযোগ জেলার তবলাবাদকদের সামনে
বাংলায় কর্মসংস্থানের কঙ্কালসার চেহারা সামনে উঠে এসেছিল করোনার কারণে লকডাউনের সময়। এরপর গত জুন মাসে ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রাজ্যের অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে সেই ছবিটি আরও একবার আলোচনায় উঠে আসে। এমনিতেও সারা বছর ধরেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় কারোর না কারোর মৃত্যুর খবর আসতেই থাকছে ভিন রাজ্য থেকে। কারণ এই জেলাগুলোর দরিদ্র পরিবারের পুরুষেরা সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন ভিন রাজ্যে গিয়ে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে। আর তাতেই যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে মৃত্যু হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের।
advertisement
ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বিপদ বেশি। যখন তখন প্রাণটা চলে যেতে পারে জেনেও সংসার চালাতে উৎসবের মরশুম শেষ হতেই আবার কেরল, হায়দ্রাবাদ, তামিলনাড়ু, গুজরাটের কর্মক্ষেত্রে ফিরতে শুরু করেছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। সকাল থেকেই গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং বহু পরিযায়ী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরছেন ক্যানিং স্টেশন থেকে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রতি বছর পুজোর পরই ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন সুন্দরবনের গ্রামের পুরুষরা। তবে আজকাল পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যেও ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কেউ ধান রোয়ার কাজ তো কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ কিম্বা অন্য কোনও দিনমজুরির কাজ করেন সেখানে। গ্রামে কোনও কাজ নেই। তাছাড়া এখানে কাজ করলে যা পারিশ্রমিক মেলে তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই সকলেই অন্ধপ্রদেশ, কেরালা, ওড়িশা, চেন্নাই, দিল্লি, আন্দামানের পাড়ি দেন। কার্যত সারা বছরই কাজ মেলে সেখানে। টানা দু-তিনমাস কাজের পর বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে ফেরেন। সেখানে কয়েকদিন কাটিয়ে ফের রোজগারের আশায় পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। তাঁদের দাবি, বাসন্তী বা গোসাবায় দিন মজুরির কাজ করলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজ পাওয়া যায়। সেখানে ভিনরাজ্যে কাজ করে দৈনিক ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকা আয় হয়। তাতে গ্রামের বাড়িতে থাকা সংসারটা একটু ভাল করে চলে। আর সেই আশাতেই ঝুঁকি নিয়ে আবার বাইরের পথে বাংলার অসহায় শ্রমিকরা।
সুমন সাহা