TRENDING:

পেটের দায়ে গুজরাতে গিয়েছিল বেচারারা, বাঙালি বলে চূড়ান্ত হেনস্থা! বাংলাদেশি সন্দেহ করে যা যা করল...

Last Updated:

রোজগারের আশায় বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী-বাচ্চাকে রেখে পাড়ি দিয়েছিলেন গুজরাতের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছাতেই শুরু হয় হেনস্থা। পুলিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি সন্দেহে মারধরের অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকদের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর:  রোজগারের আশায় বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী-বাচ্চাকে রেখে পাড়ি দিয়েছিলেন গুজরাতের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছাতেই শুরু হয় হেনস্থা। পুলিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি সন্দেহে মারধরের অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকদের। যদিও জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাড়িতে ফেরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। আর এতেই খুশি পরিবার থেকে সকলে। শারীরিক নিগ্রহ এবং চরম হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশি সন্দেহে তাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ এমন অভিযোগ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এরপর পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় বিধায়ক এবং পুলিশের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাড়ি ফেরে তারা। এরফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পরিবারের সকলের।
advertisement

আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘুরে দেখবেন দুর্যোগ পরিস্থিতি, হবে ভাষা আন্দোলনের র‍্যালি

বেশ কয়েকদিন আগে, পিংলার একাধিক গ্রাম থেকে প্রায় ১০ জন গুজরাতের সুরাটে কাজের সূত্রে যান। ট্রেন থেকে নেমে তারা পৌঁছান নিজেদের বাসস্থানে। সামান্য কিছুক্ষণ পর তাদের উপর চড়াও হয় স্থানীয় পুলিশ, এমন অভিযোগ সুরাটে যাওয়ার পরিযায়ী শ্রমিকদের। বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার শিকার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভার গোবর্ধনপুর ও কেলেয়াড়া গ্রামের ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে দিন সাতেক আগে। একটি মেশিন তৈরির কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তাঁরা হঠাৎ পুলিশি অত্যাচারের মুখে পড়েন। বারংবার তাদের পরিচয় পত্র দেখালেও তাদের উপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।

advertisement

আরও পড়ুন: আর পরীক্ষা দেওয়া হল না মোনালিসার! স্কুলে যাওয়ার পথে সজোরে ধাক্কা…! সব শেষ

এই খবর বাড়িতে আসতেই রীতিমত আতঙ্কিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন সকলে। এরপর তারা যোগাযোগ করেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, পিংলা থানার পুলিশের সঙ্গে। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় সুস্থভাবেই বাড়ি ফিরে আসেন বেশ কয়েক জন। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাঁরা রাজ্য সরকারের সহায়তা চান। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। বর্তমানে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মস্থলে নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পরিবারগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন—বুদ্ধদেব বারিক, সন্দীপ মাজী ও গণেশ মাজী—নিজ গ্রামে ফিরে এসেছেন।

advertisement

বাড়ি ফিরে আসায় পরিবার ও পাড়ার মানুষজনের আবেগে চোখে জল এসে যায়। পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতির পক্ষ থেকেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিকেতনে রয়েছে কবিগুরুর ছাপাখানা, ঐতিহ্য-ইতিহাস
আরও দেখুন

ভিন রাজ্যে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মুশকিল আসান রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন। পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পেটের দায়ে গুজরাতে গিয়েছিল বেচারারা, বাঙালি বলে চূড়ান্ত হেনস্থা! বাংলাদেশি সন্দেহ করে যা যা করল...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল