পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় পাঁচ বছর ধরে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছেন রাজীব। হঠাৎই গত ২২ জুলাই তামিলনাড়ুর পেরেমবালা থানার পুলিশ তাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে আটক করে। প্রথম দিকে থানার হেফাজতে থাকাকালীন পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতেন রাজিব। কিন্তু কয়েকদিন পর পুলিশ নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র চায়। সমস্ত নথি পাঠানো সত্ত্বেও রাজীবকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে রাজীবের সঙ্গে কোন যোগাযোগই সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সেকি কাণ্ড! কেবল ছবি পালটে ভুয়ো ভোটার কার্ড! চুপিসারে বনগাঁর যুবকের নামে কোথায় ভোট পড়ছে জানেন?
রাজীবের স্ত্রী বলেন, “বাংলায় কথা বলেছে বলেই আমার স্বামীকে আটক করেছে। সংসার চালানোই এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সন্তানরা বাবাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে।” পরিবারের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে রাজীবকে মুক্ত করে রাজ্যে ফিরিয়ে আনুক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজীব শান্ত-স্বভাবের মানুষ এবং পরিশ্রমী শ্রমিক হিসেবে পরিচিত। ভিন রাজ্যে ভাষার কারণে একজন ভারতীয় নাগরিককে এইভাবে আটক করে রাখা সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। প্রতিবেশীদের কথায়, রাজীবের অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবার চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা যতটা সম্ভব সাহায্য করছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় এভাবে চালানো সম্ভব নয়। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে রাজীবের পরিবার। তাঁদের একটাই দাবি, “রাজীব যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসে।”