অভিযোগ, দু’মাস আগে চার দিন ধরে আটকে রেখে তাঁকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। সেই সময় খেতে না দেওয়া এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কোনক্রমে বাড়ি ফিরে কিছুটা সুস্থ হলেও, ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের।
advertisement
আরও পড়ুন Good News: ‘ভোলা’র চিকিৎসায় রাস্তাতেই ত্রিপল খাটিয়ে তৈরি অপারেশন থিয়েটার! চিন্তায় গোটা গ্রাম
গোলাম মণ্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায়। সাত মাস আগে স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ছিল সংসার। বাবার মৃত্যুতে কার্যত দিশেহারা সন্তানরা।
এর আগে অসুস্থ অবস্থায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই গোলাম মণ্ডল। তাঁর পাশে বসেছিলেন সামাজ কর্মী পূর্ণেন্দু বসু। সেখানেও তিনি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের নির্যাতনের কথা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ ভিন রাজ্যের পুলিশদের অত্যাচারের, শাস্তির দাবি তুলছেন তারা। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
রুদ্র নারায়ন রায়