ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ভাসি থানার ওয়াসিগাঁও এলাকায়। মৃতের নাম আবুবক্কর মণ্ডল (৩৩)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার নারায়ণপুরে।
রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আবুবক্কর। স্ত্রীকে নিয়ে ভাসিতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। পরিবারের দাবি, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। মোবাইল ফোনও সুইচ অফ পাওয়া যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না মেলায় ভাসি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিজনরা। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। দু’দিন পর, তাঁর আবাসস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি ডোবার মধ্যে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় SSC-র, ওএমআর শিট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ আদালতে!
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বস্তা খুলতেই চোখ কপালে তদন্তকারীদের, টুকরো টুকরো করে কাটা অবস্থায় মেলে দেহাংশ। পরে মৃতদেহটি আবুবক্করের বলেই শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর রাতেই কফিনবন্দি অবস্থায় তাঁর দেহ পৌঁছে যায় বাদুড়িয়ার রুদ্রপুরে পৈতৃক ভিটেতে। রাতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী-সহ আত্মীয়-পরিজনেরা। তাঁরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি একের পর এক নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে অথচ প্রশাসনের নজর নেই। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের ৮ বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিস ইউজিসির, কেন? বন্ধ হতে পারে অনুদান?
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের ভাসি থানার পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন একজন গ্রেফতার হয়েছে। তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি অন্য কোনও কারণ জড়িত এই ঘটনায়। আপাতত একটাই প্রশ্ন– ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে কেন প্রাণ দিতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের!
জুলফিকার মোল্যা