মমতার দাবি প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে পালটা কটাক্ষের সুরে বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'নন্দীগ্রামে ওনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কোনও জনভিত্তি নেই। ইতিমধ্যেই তিনি হেরে গিয়েছেন।' মমতা অবশ্য শুভেন্দুর আগেই দাবি করে যান, 'আমি আমার জেতা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি নন্দীগ্রামে জিতবই মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, কিন্তু আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে।' শুভেন্দুর অবশ্য কটাক্ষ, 'হারের ভয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাননীয়া।'
advertisement
এদিন বেলা ১.৪০ মিনিট নাগাদ নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথে পৌঁছন মমতা। আর তৃণমূল নেত্রী পৌঁছোনোর পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই বুথের বাইরের পরিস্থিতি৷ বুথের বাইরে লাঠি, বাঁশ হাতে জড়ো হয় শয়ে শয়ে লোক৷ অথচ সেখানে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর৷ পুলিশের সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট কম। ফলে প্রায় দু'ঘণ্টা ওই বুথেই আটকে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছনোর প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে ওই বুথে পৌঁছন নন্দীগ্রামে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী৷ বুথে ঢুকে মমতার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁর কাছেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷ নিরাপত্তায় চরম গাফিলতির অভিযোগও করেন মমতা। ক্ষুব্ধ তৃণমূলনেত্রী তখনই বলে যান, 'আমি বেরনোর পর যদি স্লোগান, শাউটিং হয়, কোনও সমস্যা হয়, তাহলে কিন্তু জল অনেক দূর গড়াবে৷' এর পর কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর প্রায় দু' ঘণ্টা বাদে ওই বুথ ছেড়ে বেরোন মমতা৷
এরপরই বিকেলে বয়ালে পৌঁছন শুভেন্দু। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই শুভেন্দু বলেন, 'এটা আসলে জয় শ্রীরামের ভয়। শেষ প্রচারে এত জয় শ্রীরাম হয়েছে, টেঙ্গুয়া, বলরামপুর ও রেয়াপাড়ায় এত জয় শ্রীরাম শুনেছেন, উনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন। একইসঙ্গে শুভেন্দুর সংযোজন, 'তৃণমূল তো ৭০-৮০টা বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি। লোকই তো নেই ওদের। ওরা যে বুথে ধমকাচ্ছে, সেখানেই আমি যাব।'