প্রসঙ্গত, ঘণ্টাদুয়েকের মতো সময় আটকে থাকার পর বয়ালের বুথ থেকে বের করে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাপদ স্থানে আনা সম্ভব হয়, তখন অনেকেরই ধারণা ছিল রেয়াপাড়ায় নিজের অস্থায়ী ঠিকানাতেই ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু না, বিক্ষোভমুক্ত হয়েই তিনি রীতিমতো সুর চড়ান নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। বলেন, 'এখানে যে বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, তিনি কাল রাত থেকেই সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।'
advertisement
বয়ালের ওই বুথে যখন মমতাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, 'খেলা যা হওয়ার, হয়ে গিয়েছে। ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোটই হয়ে গিয়েছে। এখন গিয়ে আর কিচ্ছু করার নেই।' কিন্তু মমতা সেই প্রসঙ্গ তুলেই অভিযোগ করেন, 'বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে। যারা ঝামেলা করছে, এক জনও বাংলা জানে না। সব হিন্দি বলছে।'
তবে, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, আশেপাশের সমস্ত আসনেই তৃণমূলের ফল ভালো হবে বলেও এদিন দাবি করেছেন মমতা। এদিন বয়ালের বুথে আটকে থাকার সময়ই মমতা ফোনে ধরেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপরই ধনখড় ট্যুইটে লেখেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আইনের শাসন রাখার আশ্বাস মিলেছে। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করা হবে।'
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বুথে-বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বেরোন দুপুর একটার পর। আর প্রথম বুথ বয়ালে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে, শুভেন্দুর মুখে হাসির পরও মমতার ৯০ শতাংশ ভোট পাওয়ার দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।