ভোটে অনেকটা আগে থেকেই নন্দীগ্রামের এন্ট্রিপয়েন্ট রেয়াপাড়ার ঘাঁটি তৈরি তৈরি করেছেন রেয়াপাড়া। আগেই তিনি জানিয়ে দেন ভোটের দিন এখানেই থাকবেন, এমনকি বিকেলে কলকাতা যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করে দেন। তবে সকাল থেকে একদিকে শুভেন্দু অধিকারী যখন এলাকা চষছেন, তিনি রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে না বেরোনোয় বেশ কয়েকটি জল্পনা তৈরি হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের একাংশ বলতে শুরু করে ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতেও ভোটের দিন তেমন একটা রাস্তায় নামতেন না। ঘরে বসেই সব খোঁজ রাখতেন। তেমনই এবারেও হয়তো তিনি বেরোবেন না। প্রথমত তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দ্বিতীয়ত তিনি জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। শুভেন্দু অধিকারী যখন হন্যে হয়ে ঘুরছেন তখন তাঁর এই না বেরোনোটাই আত্মবিশ্বাসেরই বার্তা দিতে পারে বলেও বলা হচ্ছিল।
advertisement
কিন্তু পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই নিজের তৈরি করা নিয়মই আজ ভাঙলেন তিনি। সকাল থেকেই খোঁজ রাখছিলেন কোথায় কী চলছে। দফায় দফায় অভিযোগ আসতে শুরু করে। সকালে অন্তত ৮০টি জায়গায় পোলিং এজেন্ট ঢুকতে পারছিল
না। বেলা গড়াতেই সেই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু অন্য দিকে বোমাবাজির অভিযোগ আসতে থাকে কালীচরণপুর, সোনাচূড়া থেকে।
সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল অঞ্চল থেকে। কর্মীরাই তাঁকে জানান, বয়ালের অন্তর্গত ১৩, ১৪, ১৮,১৯,২০ নং বুথে তৃণমূল সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি দীর্ঘক্ষণ।এমনকি গ্রামে ঢুকে ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বয়ালের ৬ নং বুথে শম্ভুনাথ প্রাইমারি হাইস্কুল ও ৭ নং বুথের মক্তব প্রাইমারি স্কুল দীর্ঘক্ষণ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলে অশান্তি কমলেও বয়াল অশান্তই থেকেছে। সম্ভবত সেই ঘটনার জেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি রওনা হলেন খতিয়ে দেখতে।