তাই বাঙালির উৎসব অনুষ্ঠানে ধীরে ধীরে বিরিয়ানি জায়গা দখল করছে। এবার সেই বিরিয়ানি মিড ডে মিলের খাবারের তালিকায়। তমলুকের একটি স্কুলে মিড ডে মিলে বিরিয়ারি দেওয়া হল ছাত্র-ছাত্রীদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত খারুই ইউনিয়ন হাই স্কুলে মিড ডে মিলের নতুন সংযোজন বিরিয়ানি।
মূলত পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখা অন্যদিকে স্কুল ছুট কমাতে মিড ডে মিলের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিগুণ মাথায় রেখে রাজ্য সরকার আগেই মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকা করে দিয়েছে। সেই মত সপ্তাহে ছয় দিন মিড ডে মিল পরিবেশন হয় স্কুলগুলিতে। মিড ডে মিলের খাওয়ার তালিকায় ভাত ডাল তরকারি ডিম ও মাংস রয়েছে। কিন্তু এবার ছাত্রছাত্রীদের আবদার মেটাতে মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাওয়ালো শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই ইউনিয়ন হাই স্কুল।
advertisement
মিড ডে মিল বরাদ্দ পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হলেও, এই স্কুলের শিক্ষকেরা দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় বারোশো ছাত্র-ছাত্রীদের কে এদিন মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাওয়াল। খারুই ইউনিয়ন হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপম জানা বলেন, ‘প্রতিমাসেই একদিন মাংস ভাত হয়। কিন্তু এবারে ছাত্র-ছাত্রীরা আবদার করেছিল মাংস ভাতের পরিবর্তে বিরিয়ানি খাওয়ানোর। সেইমত তাদের আবদারে আবদারে বিরিয়ানি খাওয়ানো হল। স্কুলে বিরিয়ানি হওয়ায় বাকি দুটো শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এদিন মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়। স্কুলে এদিন উপস্থিতির সংখ্যা শতাংশই। ইচ্ছে থাকলে অন্যান্য স্কুলও মাসে একদিন মিড ডে মিলে বিরিয়ানির আয়োজন করতে পারে।’
বর্তমানে জেলার নানা প্রান্তে স্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে নানান ধরনের অভিযোগ ওঠে। কোথাও খাবারের গুণগত মান একেবারেই নিম্নমুখী। কোথাও আবার খাবারে বিষাক্ত পোকামাকড়। কিন্তু সেখানে মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাইয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো তমলুক থানার অন্তর্গত এই স্কুল। আর ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিলে পাতে বিরিয়ানি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।
সৈকত শী