বিগত ছয় মাস ধরে এই বিদ্যালয়ে বন্ধ ছিল মিড ডে মিলের রান্না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে রান্নাঘরে তালা ঝোলানো ছিল। এই খবর পঞ্চায়েত অফিস ও বিডিও দফতরে পৌঁছানোর পরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। দীর্ঘ ছয় মাস পর মিড ডে মিল পুনরায় চালু হয় এই বিদ্যালয়ে। এতে খুশি পড়ুয়ারা।
advertisement
এ বিষয়ে বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্লাবতি কুমার বলেন , স্কুলের পড়ুয়ার পড়াশোনার পাশাপাশি যাতে সঠিকভাবে খাবার পায়, যাতে তাদের সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটে সেই কারণেই তড়িঘড়ি মিড ডে মিল পুনরায় চালু করা হল। কারণ বাচ্চারা যদি খালি পেটে থাকে তাহলে তারা পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে পারবে না। এই ঘটনা যাতে আর কখনও কোনও স্কুলে না ঘটে সেই দিকে নজর থাকবে তাদের।
এ বিষয়ে গেরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাকেশ রজক বলেন , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল চালু করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাচ্চারা খুবই খুশি হয়েছে পুনরায় মিড ডে মিল চালু হওয়ায়। তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
এর জন্য সকলকেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিভাবক চিত্তরঞ্জন মাঝি বলেন , মিড ডে মিল চালু হওয়াতে খুবই উপকার হয়েছে। বাচ্চাদের আর না খেয়ে থাকতে হবে না। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খাবারও পাবে। এতে তিনি খুবই খুশি। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত চলে এই স্কুল।
মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কারণে বহু পড়ুয়া অভুক্ত থাকত। এই মিড ডে মিল চালু হওয়ার ফলে এই বিদ্যালয় যেন আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। পঠন-পাঠনের সঙ্গে দুপুরের আহার পেতে আর কোনও সমস্যা হবে না পড়ুয়াদের। খুশিতে মেতেছে পড়ুয়ারা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি