স্থানীয় গ্রামীন উৎসব, ‘রান্নাপুজো’ বা অরন্ধন। গ্রামে উৎসব শুরু হবার আগেই স্কুলে অরন্ধনের স্বাদ পেল খুদে পড়ুয়ারা স্কুলের মিড ডে মিলে। হাওড়া জেলার আমতা-১ ব্লকের সিরাজবাটি চক্রের অন্তর্গত, সোনামুই উচ্চ সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের আয়োজনে ছিল। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এ বছরেও রান্না পুজোর আয়োজন।
advertisement
রান্না বা অরন্ধন উৎসব, জেলার একটি বহু প্রচলিত উৎসব। এই মাস জুড়েই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবের প্রধান হল মাছ, বিভিন্ন সবজি ভাজা আর চালতা অম্বল অন্যতম। খাবারের পদে ছিল ভাত, মুগের ডাল, মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক চচ্চড়ি, ইলিশমাছ, কাটাপোনা মাছের ঝাল, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, আলু,কুমড়ো, বেগুন ভাজা সেই সঙ্গে চালতার চাটনি ও গুড়ের নারকেল নাড়ু।
ঘরে ঘরে অরন্ধন উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও, স্কুলে এমন ঘটনা বিরল। তাই স্কুলে এই রান্নার আয়োজন দেখতে অভিভাবকরা তো হাজির ছিলই। সেই সঙ্গে হাজির হাওড়া জেলার মিড ডে মিল দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মহাশয়া শুক্লা গঙ্গোপাধ্যায়,আমতা-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতী জয়শ্রী বাগ, হাওড়া জেলার আমতা-১ ব্লকের সিরাজবাটি চক্রের এস আই দীপঙ্কর কোলে।
এছাড়াও, সংলগ্ন ফতেসিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও হাজির ছিলেন। ছাত্র ও তাদের কিছু উৎসাহী অভিভাবকদের যোগদান ছিল বিশেষ লক্ষনীয়। ছাত্রদের পাতে এই সব হরেক রকম খাবার একে একে পড়তেই তাদের মুখে চওড়া হাসি যেন আরও খানিকটা চওড়া। সব মিলিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাননীয় সুমন্ত সাউ মহাশয়, অন্যান্য সহকারী শিক্ষকেরা ও স্কুলের দুই মিড ডে মিল কর্মীর সার্বিক সহযোগিতায়, এই আয়োজন প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও দারুণ সাড়া ফেলেছিল সোনামুই গ্রাম জুড়ে।
রাকেশ মাইতি