আরও পড়ুন: স্কুলেই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সিনেমা উৎসবে মাতল খানাকুলের কচিকাঁচারা
১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলে কবি মধুসূদন দত্ত। বাংলার সাহিত্য জগতের নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শেষ জীবনের এক বড় অংশ কাটিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার নদীর তীরবর্তী জায়গায়। বর্তমানে যা উত্তরপাড়া জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরী নামে পরিচিত সেই বাড়ি ছিল কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শেষ বয়সের ঠিকানা। জীবনের একটা বড় অংশ তিনি কাটিয়ে গিয়েছেন হুগলির উত্তরপাড়াতেই। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ব্যবহৃত আসবাবপত্র তা সবকিছুই হয়েছে মধুসূদন কক্ষে। যে ঘরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শেষ বয়স কাটিয়ে ছিলেন আজও সেই ঘর কে আলাদাভাবে সংরক্ষিত করা হয়েছে মধুসূদন কক্ষ হিসেবে। শেষ জীবনে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন শুধু গঙ্গা তীরবর্তী এই বাড়িতে।
advertisement
আরও পড়ুন: হুগলিতে একাধিক হাঁসের রহস্যমৃত্যু! ফরেন্সিক ল্যাবে শুরু ময়নাতদন্ত, হত্যা নাকি দুর্ঘটনা?
এই বিষয়ে উত্তরপাড়া জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরী টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অর্পিতা চক্রবর্তী তিনি বলেন, উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরীতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শেষ বয়সে এসে থেকেছেন। তার জীবন কালে সবকিছু কষ্টের সময় তিনি কাটিয়েছিলেন এই লাইব্রেরি ভবনে। জানা যায় তাদের মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি লাইব্রেরী দ্বিতীয় কক্ষে মধুসূদন ভবনেই থাকতেন। তার স্ত্রী পুত্র তার সঙ্গে এসে থাকতেন। এমনকি তার শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর তার এবং তার স্ত্রী এর সমাধি যেন তৈরি হয় এই লাইব্রেরীর মাঠেই। তবে সেই সময় গোড়া ব্রাহ্মণ্যবাদের জন্য তাতে সহমত হয়নি একাংশের মানুষ। তবে মাইকেলের ২০০ বছরের জন্মদিনে এখনও সাহিত্যের প্রতি তার যা অবদান সেই কারণে নতুন প্রজন্ম থেকে পুরাতন প্রজন্ম সকলের কাছেই মহাকবি হিসেবে রয়েছেন মধুসূদন দত্ত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই বিষয়ে উত্তরপাড়া পুরসভার পুরো প্রধান দিলীপ যাদব তিনি জানান, পুরসভার পুরোপ্রধান হিসেবে এলাকার যে ইতিহাস তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই প্রয়াস। এলাকার সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা তারা আসছেন এই প্রদর্শনী দেখতে। এর ফলে সাহিত্যের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্বুদ্ধ হবে।
রাহী হালদার