এই অবস্থায় কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ে বসান হয়েছে একটি ড্রপ বক্স, যার নাম ‘মনের ঠিকানা’। এটি শুধু একটি বাক্স নয়, বরং ছাত্রীদের মনের কথা জানানোর একটি নতুন রাস্তা, এক নির্ভরতার জায়গা। মহকুমা শাসক অহিংসা জৈন বলেন, ‘স্কুল এডমিনিস্ট্রেসন, এসআই আমরা সবাই মিলে এই উদ্যোগটা নিয়েছি। আশা রাখছি মেয়েদের মনে কিছু থাকলে তারা সেটা মনের ঠিকানার মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবে।’ ছাত্রীরা এখানে নাম না লিখেও তাদের মনের যন্ত্রণার কথা লিখে জানাতে পারবে। কেউ যদি মানসিক চাপে থাকে, যদি কেউ সমাজ বা পরিবারে কোনও অন্যায়ের শিকার হয়, বা বিদ্যালয়ে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তাহলে সেটাও জানান যাবে এই বক্সের মাধ্যমে।
advertisement
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথায়, এই ড্রপ বক্স খোলা হবে প্রতি সপ্তাহে একবার। যদি কোনও অভিযোগ প্রশাসনিক হয়, তাহলে তা নিয়ে পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। আর যদি বিষয়টি বিদ্যালয় সংক্রান্ত হয়, তাহলে প্রধান শিক্ষিকা এবং স্কুল পরিদর্শক তা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন। প্রধান শিক্ষিকা মাধুরী দাস বলেন, ‘মেয়েদের সুরক্ষতি রাখার জন্য আমাদের যতটা করা সম্ভব করছি। মেয়েরা এই মনের ঠিকানায় তাদের মনের কথা লিখবে। সেই জায়গা আমরা মেয়েদের দেব।’
এই মনের ঠিকানা ড্রপ বক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহা, স্কুল পরিদর্শক ফ্যান্সী মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। মনের ঠিকানা কিশোরী ছাত্রীদের জন্য একটি আশার আলো। এখন থেকে কেউ না কেউ তাদের মনের কথা শুনবে এবং প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াবে। এটি শুধুমাত্র এক টুকরো কাগজ ফেলার জায়গা নয়, এ এক ভালোবাসার আশ্রয়, যেখানে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী