কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, ইংরেজ ও ফরাসিদের ছাউনি ছিল ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটি এলাকায়। সেই সময় নিরাপত্তার কারণে মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতেন না। তাঁদের অন্দরমহলেই রাখা হত। তাই তৎকালীন সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আচার অনুষ্ঠান পুরুষরাই সামলাতেন। এমনকি পরিবারের মহিলার যেভাবে বাড়ির ঠাকুরকে বরণ করতেন সেভাবেই পুরুষরা এখানে দেবীকে বরণ করেন। মহিলাদের মতই শাড়ি পরে মাথায় সিঁদুর লাগিয়ে বরণ ডালা নিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রীকে বরণ করার এই প্রথা আজও চালু আছে। তার পর রীতি মেনেই শোভাযাত্রা বের হয়।
advertisement
২৩১ বছরের আগে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারাম সুর গৌরহাটিতে বাস করতেন।তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুমতি নিয়ে দুই বিধবা কন্যাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। বদলে সেই পুজো আবার শুরু হয় তেঁতুলতলা বারোয়ারির হাত ধরে। ইংরেজ শাসনকালে এই অঞ্চল জঙ্গলে ভরা ছিল। মহিলারা বাড়ির অন্দরে থাকতেন। এই এলাকাগুলিতে গোরা সৈনিক থাকার কারণে নিরাপত্তা অভাব সব সময় লেগেই থাকত। মহিলাদের উপর অত্যাচারের কারনে তারাও আর বাড়ি থেকে বেরোতেন না। তাই সেই পরিস্থিতিতে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসা পুরুষদের দিয়েই বরণের প্রচলন আজও চলে আসছে।
রাহী হালদার