স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মঙ্গলপ্রসাদ মল্লিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন যে যূথিকার গর্ভের থাকা সন্তানের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ৷ এর পরই ডাঃ মল্লিক সিদ্ধান্ত নেন সি সেকশন অপারেশনের। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন যূথিকা৷ তবে নবজাতকের ওজন ছিল মাত্র ৭০০ গ্রাম৷
আরও পড়ুন : রোগিণীর সারা দেহে ফোস্কা ও যন্ত্রণা! সরকারি হাসপাতালে ৯ মাসের চিকিৎসায় সারল বিরল চর্মরোগ
advertisement
এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দেয় চিকিৎসকদের মধ্যে। তাঁর পরিবারের লোকেরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপক মাসান্তর দ্বারস্থ হন। ডাঃ মাসান্ত শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন ৷ দীর্ঘ ৩৪ দিন শিশুটিকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের NICU বিভাগে রাখা হয় ২৪ ঘন্টা নজরদারির মধ্যে। অবশেষে একটু একটু করে সুস্থ হতে শুরু করে শিশুটি।
আরও পড়ুন : লালগড়ের জঙ্গলে উদ্ধার পরিত্যক্ত সদ্যোজাত শিশুকন্যা
অবশেষে সোমবার শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হল। আর নিজেদের সন্তানকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রুতে ভরে যায় বাবা বিভাকর পান্ডা ও মা যূথিকা বেরার চোখ । সোমবার নিজেদের আত্মজকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন : নীচের তলায় খুন হলে সিঁড়ির বাঁদিকের রেলিংয়ে রক্তের দাগ কেন? ব্যবসায়ী-খুনে এখনও একাধিক ধোঁয়াশা
এ বিষয়ে ডাঃ দীপক মাসান্ত বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মধ্যে এই রকম অবস্থার শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার নজির এর আগে নেই।’’ এরজন্য তিনি নার্সিংহোমের NICU র পুরো টিমের প্রশংসা করেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছি মাত্র, বাকিটা ঈশ্বরের কৃপা।’’
( প্রতিবেদন-শোভন দাস )