কখনও মানবিক দেওয়ালের ব্যানারে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জামাকাপড় দিয়ে সহযোগিতা, আবার কখনও কুইজ কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে সমাজের শিক্ষামূলক বার্তা এমনকি রক্তের খোঁজ দেওয়া তার কাজ। শিক্ষকের এমন ভাবনা এবং উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। সমাজের আসল অনুপ্রেরণা তিনি। সকাল দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের তৈরি করেন সমাজে মানুষ হিসেবে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনে তার রুটিন এবং সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব চমকে দেয় সকলকে। রাতবিরেতে রক্তের প্রয়োজন হলে ফোন আসে তার কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুটি নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা, এক ফোনেই অভিযোগ থানায়, বিশেষ ভাবনা পুলিশের
কখনও নিজে আবার কখনও রক্তদাতা সংগ্রহ করে রক্ত দান করেছেন। বাঁচিয়ে তুলেছেন মুমূর্ষ রোগীদের, এতেই যেন আনন্দ পান তিনি। শুধু তাই নয়, জঙ্গলমহলে জন্ম হওয়ার কারণে সাহিত্যচর্চা এবং সাহিত্যের লেখালেখিও তার মধ্যে। মেদিনীপুরের বাসিন্দা, চুয়াডাঙ্গা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুদীপ খাঁড়া। রক্তের প্রয়োজনে সবার প্রথম খোঁজ পড়ে তার। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিংবা পাশের দুই জেলা থেকেও তিনি রক্তদাতা সংগ্রহ করে তৎক্ষণাৎ রক্তের জোগাড় করে দেন মুমূর্ষ রোগীদের।
আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে শিল্পীরা, বাজিতপুরের শাঁখা কাঁপিয়ে দিচ্ছে গোটা বাংলা
কখনও বস্ত্র দান, কখনও আবার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি, কখনও সাহিত্যচর্চাতেই ডুবে থাকেন তিনি।
সমাজের প্রতি প্রগাঢ় দায়িত্ব এবং শিক্ষকের নিষ্ঠা, রক্ত আন্দোলনে এমন ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। জঙ্গলমহল মেদিনীপুরে অনুপ্রেরণার আরও এক নাম সুদীপ কুমার খাঁড়া।