রামপুরহাটের একাধিক ওষুধ দোকানের কর্মীদের দাবি, প্রেসক্রিপশনে আজ পর্যন্ত কোনও দিন বড় করে ওষুধের নাম লেখা থাকত না। আর সেই কারণে প্রবীণ চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন বুঝতে অসুবিধা হত না। কিন্তু ইদানীং একশ্রেণির চিকিৎসকের হাতের লেখা উদ্ধার করতে কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলার মতো অবস্থা। রামপুরহাটের এক ওষুধের দোকানের কর্মচারী দিপেন্দু বিশ্বাস বাবু জানান, “প্রায় ৭০% ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশন পড়তে কার্যত হিমশিম খেতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন রোগীরা কী লেখা রয়েছে ওষুধের নাম”।
advertisement
আরও পড়ুন: অযোধ্যা পাহাড় ঘুরতে গিয়ে ‘প্রকৃতির ডাকে’ হন্তদন্ত! আর চিন্তা নেই, বড় ব্যবস্থা করে দিল প্রশাসন
অন্যদিকে বীরভূমের বোলপুরের এক ওষুধের দোকানের মালিক জানান, “সাঁইথিয়া থেকে একজন এসেছিলেন ওষুধ কিনতে, মোট তিনটি ওষুধ লেখা ছিল তবে তার মধ্যে একটি লেখা উদ্ধার করতে পারলেও বাকি দু’টি লেখার কী মানে সেটা উদ্ধার করতে পারিনি। অবশেষে প্রেসক্রিপশনে থাকা নম্বরে ফোন করি। কম্পাউন্ডার জানান, দু’টি সিরাপ লেখা রয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে অনেক দোকানের কর্মচারীদের দাবি, “অনেক চিকিৎসক আবার ওষুধের নামের প্রথম দু’টি অক্ষর লেখার পরই লম্বা দাগা টেনে দেন। তখন তা বুঝতে সত্যিই সমস্যা হয়। তবে কিছু চিকিৎসকের লেখা অত্যন্ত পরিষ্কার যে কেউ পড়তে পারেন।” সব মিলিয়ে অনেক ডাক্তারের হাতের লেখার সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় রোগীদের।






