আলোর উৎসবে এমন সৌর বিদ্যুৎচালিত প্রদীপ জ্বালানোর বার্তা দিয়ে এই ‘সৌরপ্রদীপ’ বানিয়েছেন পবিত্র দাস। তেল, ঘি, সলতে ছাড়াই জ্বলবে প্রদীপ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাতাসের চোটে নিভে যাওয়ার ব্যাপার নেই। ৬ ভল্টের সোলার প্যানেল, একটি ছোট কন্ট্রোলার, ৪ ভল্টের একটি ব্যাটারি, কিছু তার। এগুলি একটি মাটির প্রদীপে বসিয়ে এমন ‘সৌরদীপ’ অনায়াসে বানানো সম্ভব। আর তাই করিয়ে দেখেছেন পবিত্র দাস। পরিবেশকে বাঁচিয়ে আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবার ‘সৌরদীপ’ বানিয়ে রীতিমত চমক দিয়েছেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ইঞ্জিনিয়ারের গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ১৫ মিলিলিটারের (এমএল) একটি প্রদীপের সলতে সম্পূর্ণ পুড়ে গেলে তার থেকে ৪৫ গ্রাম কার্বন-ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। এক লক্ষ বাড়িতে যদি একটি করে তেলের প্রদীপ জ্বলে ওঠে, তার থেকে একদিনে প্রায় সাড়ে চার টন কার্বন-ডাইঅক্সাইড তৈরি হবে। যা আমাদের বাতাসে মিশে দূষণ ছড়াবে। দীপাবলিতে এমন কয়েক লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়। যা বাস্তবে পরিবেশের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। এ বিষয়ে পবিত্র দাস বলেন, “একটি ‘সৌরদীপ’ তৈরি করতে সবমিলিয়ে ১২০ টাকা মত খরচ হবে। একটানা জ্বলবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। তার থেকে বড় কথা দূষণ ছড়ায় না। এমন পরিবেশবন্ধু প্রদীপ আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।”
এছাড়াও ওই ইঞ্জিনিয়ার জানান, কেউ যদি এটি ব্যবসায়িক ভাবে করতে চায় তাহলে, সে নিজে ও পরিবেশের লাভ করবে। এই সৌর প্রদীপ বানাতে দক্ষ কারিগর ও লাগবে না, বাড়ীর সবাই এটি সহজে বানাতে পারবে। সৌর প্রদীপ একবার বানালে অনেকে বছর চলবে। রাতে ঠাকুরের কাছে কিংবা রাতে “নাইট বাল্ব” হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন এলাকায় মশলা, বড়ি, ঠোঙ্গা, মোমবাতি, ধূপকাঠি ইত্যাদি বানিয়ে গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন। এবার তাঁরাও যদি স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বানাতে চান, তাহলে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও জানিয়েছেন। রীতিমত কালীপুজোয় হলদিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের বানানো এই সৌর প্রদীপ সাড়া ফেলেছে।
সৈকত শী