দুর্গাপুর কুড়ুরিয়া ডাঙা সর্বজনীন কালী পুজো কমিটির এবারের থিম “ভূতের জঙ্গল রাজ”। বিশাল জঙ্গল এলাকায় সারি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষের কঙ্কাল। পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে রয়েছে পেতনীর দল। শ্মশানে পুড়ছে শবদেহ। অঘোরী সাধকরা শ্মশানে বসে করছে তন্ত্র সাধনা।
তারই মধ্যে বিশাল দৈত্যের মুখমণ্ডলের অনুকরণে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। ওই মণ্ডপের ভেতরে রয়েছে কালী প্রতিমা৷ থিমের সঙ্গে মানানসই ভয়ঙ্কর রূপের বিশাল শ্মশান কালী প্রতিমা দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে দেবেন মমতা’! কোন রেকর্ডের কথা বললেন কুণাল ঘোষ! ২৬-এর ভোটের আগেই জোর চর্চা
পুজো উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর কুড়ুরিয়া ডাঙা সর্বজনীন কালী পুজো কমিটি পরিচালনা করে দুর্গাপুর জঙ্গলমহল একাদশ সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরা। তাঁদের পুজো এই বছরে ষষ্ঠ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকা থেকে আঘোরি সাধক ও ভূত পেতনি সেজে একটি দল এসেছেন। তাঁরাই তান্ত্রিক ও ভূতের অভিনয় করে দর্শনার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোরঞ্জন করছে।
প্রতিবছরই ওই পুজো কমিটির এলাকার ঘন জঙ্গলকে কাজে লাগিয়ে ভূত, ডাকাত-সহ বিভিন্ন ভয়ানক থিম গড়ে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। পরিবেশের ক্ষতি না করে, কোনও গাছ না কেটে একের পর এক অভিনব পুজোর থিম তৈরি করে নজির গড়ে এই পুজো। প্রতিবছর ভূতের থিম থাকলেও দু’বছর আগে ওই জঙ্গলে দেবী চৌধুরানীর জীবন সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরে সেরা পুজোর শীর্ষে পৌঁছে যায় ওই পুজো কমিটি। হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় হয় ভয়ানক গা ছমছমে থিম দেখতে। ইতিমধ্যে ভূত চতুর্দশী থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা রীতিমতো শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই ক্লাব কেবল পুজো-পার্বণ নয়, সমাজসেবামূলক কার্যকলাপেও শিল্পাঞ্চলে নজির গড়েছে।
পাশাপাশি সারাবছর চলে খেলাধূলা। এছাড়াও এলাকার দুঃস্থ মানুষদের সবরকমভাবে সাহায্য করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। দুঃস্থ পড়ুয়াদের পড়াশোনার বই খাতা ও সরঞ্জাম দেওয়া হয়। বস্ত্র-সহ কম্বল বিতরণ করা হয়। ওই ক্লাবের পুরুষ ও মহিলা সদস্যার সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন। প্রায় ৪০০ ফুট বনাঞ্চল জুড়ে তাঁদের প্রতিবছর পুজোর থিম হয়।প্রতি বছরের মত এবছরও পুজোকে কেন্দ্র করে বসেছে বিশাল মেলা।