বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের একেবারে সীমানাবর্তী গ্রাম গুনিয়াদা। গ্রামে সব মিলিয়ে বসবাস ২৬টি আদিবাসী পরিবারের। গ্রামের মানুষের পানীয় জলের চাহিদা পূরণের জন্য সাকূল্যে দুটি নলকূপ বসানো হয়। কিন্তু দু’টি নলকূপের জল এতটাই দূষিত যে তা ব্যবহারের অযোগ্য। বাঁকুড়া জেলা জুড়ে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে গ্রামে গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প রূপায়িত হলে গুনিয়াদা গ্রামেও পৌঁছায় জল সরবরাহের পাইপ লাইন। বাড়ি বাড়ি বসানো হয় কলও।
advertisement
আরও পড়ুনFox Bite Terror: বাড়ি বাড়ি ঢুকে বসিয়ে যাচ্ছে ধারাল দাঁতের কামড়! জখম পাঁচ, আতঙ্কে বাসিন্দারা
মাঝে কয়েকটা বছর কেটে গেলেও সেই নল দিয়ে মাসে দশে জল পড়ে। নল দিয়ে যেদিন জল আসে সেদিন কোনও বাড়িতে এক বালতি জল পড়ে কোনও দিন আবার সেটুকুও মেলে না। অগত্যা গ্রামের তীব্র জল সঙ্কট মেটানোর ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা দেড় কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাংরা নদীর জল। প্রবল গ্রীষ্মে চড়া রোদে মাথায় হাড়ি কলসি নিয়ে সেই ডাংরা নদীর বয়ে যাওয়া জল সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে এসে জলের চাহিদা পূরণই দস্তুর বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের প্রান্তিক এই গুনিয়াদা গ্রামের মানুষের।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে জল প্রকল্প তৈরির পরেও বাঁকুড়া জেলার প্রান্তিক এই গ্রামের পানীয় জল সরবরাহের কেন এমন হাল? স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের জন্য দূষেছে রাজ্যের শাসক দলকে। তৃনমূল নেতৃত্ব তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির দাবী গ্রামে পানীয় জলের তেমন সঙ্কট নেই। গ্রামবাসীরা নাটক করছে।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী