স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে আগুন লাগে ওই ওষুধের গোডাউনে। সেই সময় ভিতরে কয়েকজন কর্মী কাজ করছিলেন। আগুন বুঝতে পেরে তাঁরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর যায় দলকল ডানকুনি থানায় । দমকলের ৭টি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে আসে। ঘণ্টাখানেক পরে আরও ৪ টি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। ১০ ইঞ্জিনের ৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গোডাউনের ভিতরের ওষুধ ও কার্টন মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে। সহজেই দাহ্য ওই সব কার্টন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে পুরো গোডাউনে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পাঁচিলের ইট ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
advertisement
এই বিষয়ে দমকলের পক্ষ থেকে রঞ্জন কুমার ঘোষ তিনি বলেন, সকালবেলা খবর পাওয়া মাত্রই দমকলের ৭টি ইঞ্জিন নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গোডাউনের ভিতরে ওষুধের মতন দাহ্য পদার্থ থাকার দরুণ খুব দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের প্রচেষ্টায় আগুনকে আটকে দেওয়া হয়েছে যাতে তা আর অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে।
ঘটনা প্রসঙ্গে গোডাউনের ম্যানেজার আশিস কর বলেন, প্রায় কয়েক কোটি টাকার ওষুধ মজুদ করা ছিল গোডাউনের মধ্যে। আগুন লেগে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব কিছু। সকালবেলায় যে সমস্ত কর্মচারীরা কাজে এসেছিলেন তাঁরাই প্রথমে আগুনটি দেখতে পান। তারপরেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনও আগুন সম্পূর্ণরূপে নেভে নি।
Rahi Halder