বীরভূমের (Birbhum) প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড (Jharkhand), ঝাড়খন্ডের দুমকা জেলায় অবস্থিত ম্যাসানজোর জলাধার। এই জলাধারের আরেক নাম কানাডা ড্যাম। ততকালিন বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বন্যা যাতে না হয় সেই কারণে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর কানাডা দেশের আর্থিক সাহায্যে এই জলাধার গড়ে উঠেছিল ১৯৫০ সালে। ১৯৫৫ সালে বিহার সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরাকারের মধ্যে চুক্তি হয়, এই জলাধার নিয়ন্ত্রণ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ম্যাসানজোর থেকে ক্যানেলের মাধ্যমে ঝাড়খন্ড সরকারকে চাষের কাজের জন্য জল দেওয়া হয়। ম্যাসানজোর জলাধারে ২১ টি Spill Way গেট রয়েছে, Low Level Gate - 3 টি, Hight Level Gate - 3 টি, Normal Gate - 2 টি ও ঝাড়খন্ড সরকারকে কৃষি কাজের জন্য 3 টি গেটের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মোট ৩২ টি গেট রয়েছে এই ম্যাসানজোর জলাধারে। এত দিন এই সমস্ত গেট খোলা হতো বা বন্ধ করা হতো ম্যানুয়াল ভাবে। জলাধারের উপর কর্মীরা গিয়ে চাবি ঘুরিয়ে গেট খুলতো ও বন্ধ হতো। এবার সবটাই নিয়ন্ত্রণ হবে যন্ত্রের দ্বারা! এই প্রযুক্তির নাম স্কাডা।
advertisement
কম্পিউটার কানেক্ট থাকছে একদিকে স্যাটেলাইটের সাথে ও ম্যাসানজোর জলাধারের সাথে। কতটা বৃষ্টি হতে পারে? কতটা জল ময়ূরাক্ষী নদীতে বাড়তে পারে? কতটা জলের চাপ পড়বে ম্যাসানজোর জলাধারে ? কতটা গেট খুলে কত পরিমাণ জল ছাড়তে হবে? আগাম জানিয়ে দেবে এই উন্নতমানের প্রযুক্তি। সেই সমস্ত গেট তোলা ও বন্ধ করা যাবে বীরভূম সেচ দফতর থেকে।
জলের লেবেল দেখে, আবহাওয়ার সাথে মিলিয়ে নিয়ে জল ছাড়া হবে এই জলাধার থেকে আর সব তথ্য লাইভ ভেসে উঠবে সিউড়ীতে সেচ দফতরের কট্রোল রুমের ওয়ালে। যার ট্রায়াল ইতি মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ছোট্ট কয়েকটি কাজ বাকি রয়েছে। তারপর অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি কাজ করা শুরু করে দেবে। তাতে ময়ূরাক্ষী নদীর ওয়াটার লেবেল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে মধ্যে থাকবে, বন্যা রোধ করা যাবে বীরভূম, মূর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকায়।