গণবিবাহ উপলক্ষে একেবারে মেলার রূপ নেয় বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমাতা মন্দির সংলগ্ন মাঠ। তার আগে ১০১ জন বরকে নিয়ে নানান বাজনা-সহ বিশেষ শোভাযাত্রা হয় বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, অনেকেই আর্থিক কারণে আড়ম্বরের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে পারে না। তাদের কথা মাথায় রেখে গত বেশ কয়েক বছর ধরে গণবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে।
advertisement
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির লাগোয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই গণবিবাহ উৎসব। এই নিয়ে ৯ বার এ ভাবে বিশাল আকারে গণবিবাহ উৎসব অনুষ্ঠিত হল।
গণবিবাহ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছিল বর্ধমানের কাঞ্চননগরে। শুধু রীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, ছিল বরযাত্রী কনেযাত্রীদের আপ্যায়ন, তাঁদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার বিপুল আয়োজনও। সব মিলিয়ে সন্ধ্যায় মেলার রূপ নেয় গণবিবাহের মাঠ। তার আগে বরপক্ষ হাজির হন বর্ধমানের টাউন হলে। সেখান থেকে একসঙ্গে বর্ণময় শোভাযাত্রা করে বিকেল বিকেল কাঞ্চননগরের দিকে বর নিয়ে রওনা দেয় তাঁরা। হিন্দু, মুসলিম, বাঙালি অবাঙালি সব ধরণের পাত্রপাত্রী ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সাংসদ দোলা সেন, কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীণ ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন- রাশিফল ৫ ডিসেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
নবদম্পতিকে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে উপহারে ভরিয়ে দেওয়া হয়। বর দের জন্য ছিল গিলে করা পাঞ্জাবি, কনেদের জন্য ছিল বেনারসী। সোনার আংটি থেকে শুরু করে সোনার নাকছাবি, খাট, বিছানা, আলমারি, সেলাই মেসিন , সাইকেল, চাল ডাল,আলুর বস্তা সহ সংসারের প্রয়োজনের যাবতীয় সামগ্রী দেওয়া হয়। এ ছাড়াও তাঁরা যাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান তারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।