একটা বট বা একটা অশ্বত্থ গাছ মানে এই দাবদাহে অনেকখানি শান্ত শীতল ছায়া। একটা আস্ত বটগাছ মানে চারপাশে তাজা অক্সিজেনের সমারোহ। একটা পূর্ণাঙ্গ গাছ মানে তাকে আশ্রয় করে থাকা নানান জীবজন্তুর পশুপাখি। গাছ মানে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য। সবুজের সমারোহ মানেই মেঘ-বৃষ্টির আসা যাওয়া। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সবুজের এই বন্দনা। সেই ভাবনা থেকেই বট অশ্বত্থের বিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের দক্ষিণ বাটির গ্রামের বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: তারকেশ্বরের হোটেলে হাড়হিম ঘটনা, হোটেলের সিলিং থেকে ঝুলছে যুগলের দেহ! কী ঘটল?
উদ্যোক্তারা জানালেন, ধীরে ধীরে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। আমরা নগরায়নের কথা ভেবে বৃক্ষ ছেদন করেই চলেছি। তার পরিনতিতে ধেয়ে আসছে একের পর এক ঘূর্নিঝড়। কখনও অতিবৃষ্টি কখনও অনাবৃষ্টি। তীব্র গরম থেকে মানুষ যাতে রেহাই পায়, যাতে বৃষ্টি হয় সেই লক্ষ্যেই পূর্বস্থলীর ১নং ব্লকের নাদন ঘাট থানার সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ বাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হল বট এবং অশ্বত্থ গাছের বিবাহ অনুষ্ঠান। বিয়ে উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল তাদের।
আরও পড়ুন: ফের দময়ন্তী সেনের উপর আস্থা, নতুন দায়িত্ব দিল কলকাতা হাই কোর্ট!
উদ্যোক্তাদের তরফে অলোক বিশ্বাস বলেন,বৃক্ষ ছেদনের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে। যার ফলে কখনো অনাবৃষ্টি, কখনো ব্যাপক বৃষ্টি, আবার কখনো খরা! সেই সঙ্গে এখন তীব্র গরম হলেও এখন প্রয়োজনের বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই হিন্দু রীতি মেনে বট অশ্বত্থ গাছের বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে গাছের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আরও বাড়বে। সবুজ বাঁচানোর প্রতি সচেতনতা বাড়বে। সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন। শঙ্খ বাজালেন, উলুধ্বনি দিলেন মহিলারা। মন্ত্রপাঠ করলেন পুরোহিত।বিবাহ উপলক্ষে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের জন্য ছিল ভুরিভোজের ব্যবস্থা।