মন্দির থেকে প্রধান গেট বেশ কয়েক মিটার দূরত্ব। প্রধান গেট থেকে মন্দির পৌঁছতে চওড়া রাস্তার দুই দিক ছোট বড় নানা বাহারি গাছ মাথা নত করে স্বাগত জানাচ্ছে। কিছুটা সামনের দিক এগিয়ে গেলে মন্দিরের রাস্তা দুভাগ। দুই রাস্তার মাঝে নয়নাভিরাম এক টুকরো ফুলের বাগান। যেখানে প্রায় সারা বছর বিভিন্ন ফুল ফুটে থাকতে দেখা মেলে। আর এই গরমের সময় সবুজ গাছের ডালে ডালে একরাশ হলুদ সূর্যমুখী। এই বাগান পেরিয়ে গেলেই মূল মন্দির। মন্দির পেরিয়ে আর একটু এগিয়ে গেলে, বয়ে গেছে হুগলি নদী। নদী এবং মন্দিরের মাঝে অবস্থান করে রয়েছে বিশাল আকৃতির প্রায় ৬১ ফুট উচ্চতার পঞ্চশীরের শিব মূর্তি। এই মূর্তি পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ মূর্তি। এই মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হল এই মূর্তি। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর ছোট মন্দির এবং ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গর রেপ্লিকা।
advertisement
শান্ত পরিবেশ খোলা আকাশের নীচে স্নিগ্ধ বাতাস। খা খা মরুভূমির মাঝে মরুদানের মত ব্যস্ত শহরের বুকে নদী তীরবর্তী এই মন্দির। মানসিক শান্তি পেতে বহু মানুষের ঠিকানা এই স্থান। ২০১৫ সালের পর থেকে যত দিন গড়িয়েছে ততই মানুষের উপস্থিতি এখানে বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্দিরি কর্মকর্তাদের কথায় জানা যায়, হাওড়া কলকাতার মানুষ ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে।
মন্দিরের পূর্ব দিকে ব্যস্ত সড়ক এবং পশ্চিমে মন্দির ছুঁয়ে বয়ে গেছে হুগলি নদী। সকাল থেকে সন্ধ্যা নিয়ম করে সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিশেষ দিনগুলিতে জাঁকজমক করে আরাধনা হয় এখানে। এ প্রসঙ্গে মন্দির কর্মকর্তা প্রভুনাথ তিওয়ারি জানান, এখানে সকালে শিবমূর্তির পুজো দিয়ে থাকেন ভক্তরা। মন্দির হল শান্তির জায়গা এখানে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন।
রাকেশ মাইতি