বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষজনের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যবাহী। মূলত সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সন্তান ও ঐশ্বর্য লাভের উদ্দেশ্যে দেবী মনসার পুজো করা হয়। এখানকার বেশ কিছু জায়গায় মনসা পুজো ঘিরে উন্মাদনা দুর্গাপুজোকে পর্যন্ত ছাপিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কল্যাণীতে ডাক্তার দেখাবে বলে বেরিয়ে ৯ দিন ধরে নিখোঁজ বধূ!
advertisement
সোমবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা শহরে মনসা পুজো উপলক্ষ্যে আনন্দোৎসবে মেতেছেন সবাই। কোথাও ফুল তো কোথাও বাহারি আলোর মাধ্যমে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছেন উদ্যোক্তারা। স্থানীয় বাবা ক্লাবের সদস্যদের পরিচালিত খাতড়া বাজারের হাড়িপাড়া ষোলআনার মনসা দেবী বেশ জাগ্রত। প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পুজো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুজোর বাজেটও বেড়েছে। চলতি বছরে পুজোর বাজেট প্রায় দুই লক্ষ টাকা। পুরুলিয়ার সুদক্ষ শিল্পীর তৈরি দেবী প্রতিমা আনা হয়েছে মন্দিরে।
বাজারের রাস্তা থেকে পাড়ার ভেতর দিয়ে মন্দির পর্যন্ত রাস্তা রঙিন আলো দিয়ে সাজান হয়েছে। মন্দির চত্বর চোখধাঁধানো রঙিন কাপড় দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানান, বাজার সহ এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে পুজোর খরচ বহন করা হয়। চার দিন ধরে চলে পুজো।
পুজো উপলক্ষে স্থানীয় কচিকাঁচাদের নিয়ে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনও করা হয়। এলাকার প্রচুর মানুষ জাগ্রত এই মনসা দেবীর পুজো দিতে ভিড় জমান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন সকাল থেকেই উদ্যোক্তারা পুজোর কাজে ব্যস্ত। প্রায় একশো বছরের বেশি প্রাচীন এই পুজো। আগে কাঁচা বাড়িতে খড়ের চালায় পুজো হত। বর্তমানে মন্দিরের দেওয়াল ও মেঝে কংক্রিটের তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে মন্দিরের ছাদও ঢালাই করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।