তাঁর খোঁজে পরিবারের লোকজন সেখানে যায়। সেখানের একটি হাসপাতালে খোঁজ পাওয়া গেলে সুব্রতকে বড়িতে নিয়ে আসা হয়। এর পরই ভবিষ্যতের কথা ভেবে চোখে জল আসছে সুব্রতর।
সাগর থেকে মাইনিং-এর কাজে চেন্নাই যাচ্ছিলেন সুব্রত। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। চারিদিকে নোনাজল দিয়ে ঘেরা দ্বীপভূমির বাসিন্দা সুব্রত। বাড়িতে এসে আর হয়তো বাইরে বেরোতে পারবেন না, করতে পারবেন না কাজ, উপভোগ করতে পারবেন না সাগরের সৌন্দর্য।
advertisement
আরও পড়ুন- সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বারুইপুরে রায়চৌধুরী পরিবারের ৩৫০ বছরের রথযাত্রা উৎসব
এটা ভেবেই মাঝে মধ্যে চোখে জল চলে আসছে তাঁর। দূর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে সাগররা পাঁচ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন মারা যান। বাকিরা সবাই বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু সুব্রতকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, সুব্রত গুরতর আহত অবস্থায় কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি।
ট্রেন দুর্ঘটনায় তাঁর কোমরের নিচের অংশ ভেঙে যায়। আগামী ৬ মাস বড়িতেই বিছানায় থাকতে হবে তাঁর। এছাড়াও সুব্রতর একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাইরে কাজে যাওয়ার থেকে সাগরে থাকা অনেক ভাল, এমন কথা বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী ‘জোড়বাংলা’র নিদর্শন রয়েছে বালি দেওয়ানগঞ্জে
তবে তিনি তাঁর পাশে থাকার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজন যখন তাঁকে খুঁজে পায়নি, তখন তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা ভালই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর আবার গ্রামে সুব্রত ফিরে আসায় খুশির জোয়ার বইছে সাগরে।
নবাব মল্লিক