স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ডিয়ার লটারি টিকিট বিক্রেতা প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও টিকিট বিক্রি করতে বসেছিলেন। সকাল দশটা নাগাদ এক ক্রেতা গতকালের একটি টিকিট ভাঙানোর জন্য আসেন ডানকুনির টিকিট বিক্রেতার কাছে। সেখানে প্রায় ১১ হাজার টাকার বিনিময় সেই টিকিটটি ভাঙাতে চান ওই ক্রেতা। কিন্তু তাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে টিকিটের নম্বর দেখে।
advertisement
যেই টিকিট ওই ক্রেতা নিয়ে এসেছেন সেই টিকিটেই ইতিমধ্যে টাকা পেয়ে গেছেন অন্য এক ক্রেতা। লটারি টিকিট বিক্রেতারা নির্দিষ্ট এজেন্সিকে জানান সেই খবর। এবং তারপরেই ওই ব্যক্তিকে ধরে কানাইপুর ফাঁড়িতে নিয়ে এসে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই ব্যক্তিকে। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে লটারির টিকিট বিক্রেতা তারক দে তিনি বলেন, সকাল বেলা দোকান খোলার সঙ্গেই একটি লটারি টিকিট নিয়ে আসে এক ব্যক্তি। সে একটি টিকিট ভাঙিয়ে পুরস্কারের টাকা দিয়ে ২৫ সেমের আরও তিন হাজার টাকার টিকিট কিনতে চায়। প্রথমদিকে টিকিট বিক্রেতারা বুঝতে পারেননি তার কাছে যে টিকিট রয়েছে সেটি জাল। তবে টিকিটের কাগজ হাতে ধরতেই বোঝা যায় যে জাল টিকিট ছাপিয়ে নিয়ে এসে লটারি টিকিট বিক্রিতাদের সঙ্গে জালিয়াতি করছেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে ওই ব্যক্তিকে ধরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে, ৪৫ হাজার টাকার একটি লটারির বিজয় টিকেট নিয়ে এসে টিকিট বানিয়ে যান এক প্রতারক। পরে জানা যায় সেই টিকিটটা জাল ছিল। যেভাবে জাল টিকিটের কারবারি ও প্রতারকরা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে লটারি টিকিট বিক্রি এখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে টিকিট বিক্রেতাদের কাছে।
Rahee Halder