এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি করলেও সীতারামের খোঁজ মেলে না। স্থানীয়দের কথায়, এই খালের গভীরতা অনেক। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর খবর যায় দাসপুর থানায়। থানার ওসি, ঘাটালের এসডিপিও, স্থানীয় বিধায়ক সহ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধানে খালের জলে নামানো হয় NDRF-এর বোট। শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে সন্ধ্যা নামার আগে খালের জল থেকে উদ্ধার হয় মৃত সীতারাম সিং-এর দেহ। শোকের ছায়া নেমে আসে মৃতের পরিবারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবসর সময়ে হাতের কাজ করে রাজ্যে সেরা! তাক লাগালেন জঙ্গলমহলের ‘এই’ স্কুল শিক্ষক
এই প্রথম নয়, সাম্প্রতিক অতীতে দাসপুরে মোট তিনজনের জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। আগে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবার হরিরাজপুরে তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির খোঁজে সন্ধান চালিয়ে নিথর দেহ উদ্ধার করা হল। প্রশাসনের তরফে সচেতন ও সতর্ক করার পরেও একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন্যার জল মানে একদিকে যেমন ফসল জলের তলায়, ঘরবাড়ি, জীবন-জীবিকার ধ্বংসলীলা, শিক্ষার্থীদের বেহাল পরিস্থিতি; তেমনই পদে পদে থাকে প্রাণের ঝুঁকি। কখনও সাপের আতঙ্ক কখনও আবার ডুবে গিয়ে অকালে প্রাণ চলে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে। প্রত্যেক বছর এই এক ছবি দেখতে দেখতে ক্লান্ত বানভাসী মানুষরা। প্রশ্ন উঠছে, ঘাটাল, দাসপুর সহ বানভাসী মানুষদের জীবনে কি সুখ আসবে না? তাদের কি নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর অধিকার নেই?