তবে শুধু পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা নয়, এদিনের সফরে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এগরায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর হেলিকপ্টারে করে তিনি পৌঁছে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
আরও পড়ুন: অভিষেককে ঘিরে কুর্মিদের তুমুল বিক্ষোভ, ভাঙল মন্ত্রীর গাড়ি! মমতাকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেওয়ার পর শালবনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগদানের পর বিকেলেই হেলিকপ্টার করে ডুমুরজলা ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হওয়ার ঘটনার পর পর এদিনের কর্মসূচির জন্য আরও আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে বেশ কিছু নতুন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারেন। শুক্রবারই মুখ্য সচিব বাজি নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
মুখ্যসচিব একদিকে যেমন জনবহুল এলাকায় যাতে বাজি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন, পাশাপাশি বাজি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির জন্য নির্দিষ্ট জমি চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন জেলাশাসকদের বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। পাশাপাশি যাঁরা বাড়িতে বাজি বানাচ্ছেন, তাঁদের অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা যায় না কি সেটাও খতিয়ে দেখার কথা বলেন মুখ্যসচিব।
বেআইনি বাজি উদ্ধার অভিযান আরও চালিয়ে যেতে হবে বলেও শুক্রবারের বৈঠকে পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে আরও খোঁজ খবর করতে হবে বলেও শুক্রবারের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্লাস্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইদিনের পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এই দুই জেলা সফরই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
