বগটুই থেকে তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যান রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''এটা ভীষণ ভয়াবহ ঘটনা। আমি ভাবতে পারিনি এরকম নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে কখনও। শুধু কয়েকটা লোকের জন্য অশান্তির আগুন জ্বলছে। আনারুলকে জানানো সত্ত্বেও পুলিশ পাঠায়নি ও। আনারুলকে গ্রেফতার করা হবে। ও যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে গ্রেফতার করতে হবে।'' যদিও গতকালই আনারুল জানিয়েছিলেন, ''আমি কোন ঘটনায় যুক্ত নই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।''
advertisement
তবে, এদিনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ''সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে অন্য কেউ কখনও এরকম কাজ করতে না পারে। যাঁরা জেনেও পুলিশকে ঠিক মতো কাজে লাগাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভাদু শেখকে মারার ঘটনা খারাপ। তার পর যা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’
আরও পড়ুন: অসুস্থতা ছিল না, কিন্তু বুধবার বদলে গেল পরিস্থিতি! অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ কী?
এদিন স্থানীয় মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''এখন এলাকায় সব সময় পুলিশ পিকেটিং থাকবে। যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছে, তারা বাড়িতে কিছু খুঁজতে চাইলে পুলিশ তাঁদের একবার নিয়ে যাবে। জীবনের বিকল্প চাকরি হয় না। নিজের কোটা থেকে আমি ১০ জনকে চাকরি দেব। শুধু এখানকার লোক ঘটনায় জড়িত, না বাইরের লোক এসেছে, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।''