এদিন দিঘার সভায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর কথায় উঠে আসে একাধিক প্রসঙ্গ। দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুন মামলায় বিজেপি কেন চুপ সেই প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করেন এদিন। তাঁর কথায়, "পরশু তো এক কোল মাফিয়া খুন হয়েছে। কই মুখ খুলুন। এবার কেন কথা বলছেন না? ওই হোটেলে কে কে ছিল? কোন কোন মন্ত্রী দেখা করেছিল?"
advertisement
আরও পড়ুন: জিটি রোডে জারি ১৪৪ ধারা, যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উদ্বেগ কাটছে না এলাকাবাসীর
শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে সিট। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। রয়েছেন আরও ১১ জন সদস্য। এরইমধ্যে আজ এই হত্যা প্রশ্নে মমতার কটাক্ষ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে শুটআউটে নিহত হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজেশ ওরফে রাজু ঝা। কে এই রাজু ঝা? জানা গিয়েছে, এক সময় আসানসোলের রানিগঞ্জ এলাকায় সাইকেল চুরিতে নাম জড়িয়েছিল রাজু ঝার ৷ তখন বাম জমানা ৷ ওই এলাকায় তখন বেআইনি কয়লার রমরমা কারবার ৷ অভিযোগ, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে কিছুদিনেই হাত মেলায় রাজু। কয়েক দিনের মধ্যেই রাজু ঝা হয়ে ওঠেন এলাকার 'ডন'।
সূত্রের খবর, রাজনৈতিক নেতা থেকে এক শ্রেণীর পুলিশ অফিসারদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে কয়লা পাচারে ভিন রাজ্যেও নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন রাজু। এই রাজুর বিজেপি যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তাঁর রাজনৈতিক রং নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। কার্যত সম্মুখ-সমরে নেমেছেন একদা বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমানে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরই মধ্যে রাজুকে ‘ছোট ভাই’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির টিকিটে জেতা সাংসদ তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ।