এই জেলাগুলি হল, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, হুগলি, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি। ইতিমধ্যে জেলাগুলিতে এই বিশ্ব আদিবাসী দিবস কীভাবে পালন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা পাঠিয়েছে রাজ্যের আদিবাসী দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলায় ও ব্লক স্তরে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বুধবারই পেতে পারেন ছুটি, কেবিনেই প্রিয় গানে গলা মেলালেন বুদ্ধবাবু! জানেন কোনটি?
মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম সফরে যাচ্ছেন। বুধবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিমায়েই বিশ্ব আদিবাসী দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ১৪ জেলার সঙ্গে সরাসরি ভারচুয়াল যোগাযোগ করা হবে। বিভিন্ন জেলার আদিবাসী কেন্দ্রিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। জেলা প্রশাসনকে এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আদিবাসী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আদিবাসী মানুষের মধ্যে ফলের গাছের চারা, হাঁস-মুরগী বিলি করা হবে।
আরও পড়ুন: মাথায় কেবল ‘INDIA’, আর কাঁধে এবার বিরাট গুরুদায়িত্ব! পথে নামল এসএফআই
এছাড়াও আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার থেকে আনন্দধারা প্রকল্পে রিভলভিং ফান্ড মঞ্জুর করা হবে। প্রতি জেলার জন্য অন্তত দু-হাজার ফলের চারা বিলি করার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এই বিশ্ব আদিবাসী দিবস কীভাবে পালন হবে তার জন্য এক দফা এডভাইজারিও দিয়েছে রাজ্যের আদিবাসী দফতর।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্ব আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড় গ্রামে গিয়ে। তবে এবারের আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তাৎপর্য অনেকটাই বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের রাজ্যে দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হবে। মনে করা হচ্ছে এই বিশ্ব আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারেন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দুদিনের ঝাড়গ্রাম সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়