সাগরমলায় কত পুণ্যার্থী আসছেন, তার নজরদারিতে এবার সাগরদ্বীপের সমস্ত পরিবহণমাধ্যমে লাগানো থাকছে জিপিএস ট্র্যাকার। এই জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মাত্র কুড়ি বছরেই কাঁধে ৫ জনের সংসারের ভার, মদ্য়পদের গাড়ির চাকায় শেষ হল অঞ্জলির স্বপ্
advertisement
কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস বাবাজির প্রধান সহকারী মহন্ত সঞ্জয় দাসের কথায়, "এবার তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ হতে পারে। তাই প্রশাসন প্রথম থেকেই সতর্ক। ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার পিলগ্রিম ট্র্যাকিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কাজে লাগতে চাইছে তারা। বাবুঘাট-সহ সমস্ত প্রান্ত থেকে সাগরযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত গণ পরিবহণেই এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।"
মেলার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে হোগলা ছাউনির অস্থায়ী আস্তানা। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা এড়াতে সেইসমস্ত হোগলা ছাউনিতে ছড়ানো হচ্ছে অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য। সুরক্ষার স্বার্থে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে দমকল। পুজোর সময় কোটালে সাগরের দু'নম্বর স্নানঘাট ভেঙেছে। ছ'টি স্নান ঘাটের মধ্যে প্রায় সবকটি অল্প বিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিলভার স্যান্ড বোঝাই করে নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলছে।
কাদার হড়কান এড়াতে পাড়ে বসানো হচ্ছে পেভার্স ব্লক। ২ নম্বর স্নান ঘাটে কর্মরত সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জনিয়র নির্মলকান্তি নাইয়া বলেন, "ঘাটে ভাঙনরোধের কাজ শেষ। যাত্রীদের স্নান করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য ৭০ মিটার জুড়ে জিওব্যাগে সিলভার স্যান্ড ভর্তি করে সিঁড়ি করে দেওয়া হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণীর সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবীও! দুর্ঘটনার পরই উধাও
সরকারিভাবে মেলা শুরু ৮ জানুয়ারি থেকে। ভিনরাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ভিড় এখন থেকেই আসা যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মেলার প্রস্তুতি দেখতে আজ বুধবার দুপুরে সাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরেই রাত্রিবাস করবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের আগেই মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলার চেষ্টা চলছে। মেলা জুড়ে বসে গিয়েছে ১০০ সিসিটিভি। মুখ্যমন্ত্রী সাগরে পা রেখেই তিনটি স্থায়ী হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করবেন। হেলিপ্যাড প্রাঙ্গণ থেকেই ভার্চুয়ালি সাগরের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ভারত সেবাশ্রম। তারপরে বিকেলে কপিলমুনির আশ্রমে। সেখানেও মন্দিরের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর।