সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বড় আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নভেম্বর ডিসেম্বর মন্ত্রী আমলাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, আপনারা নিজেদের এলাকায় থাকুন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ-নিজ এলাকায় থাকতে বলুন। বিজেপি নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ইন্ধন জোগাতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, পুলিশকে নাকা চেকিং আরও বাড়াতে হবে। যাতে কোনও ধরনের ছোটখাট ঘটনাও না ঘটে। সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সূত্র এসে গিয়েছে হাতে, মানিকের আর 'রক্ষা' নেই! জেলে রেখেই 'খেলা' শেষ করতে চাইছে ইডি
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও মমতা সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বলেন, ''ভোট আসলেই সিএএ, এনআরসি। রিকোয়েস্ট করব, সবাই ভোটার লিস্টে নাম তুলবেন। কমিশনের নিয়ম মেনে নাম তুলবেন। একটা চক্রান্ত চলছে। কারও নাম যেন বাদ না যায়। সীমান্ত এলাকায় দেখতে হবে, তারাও মানুষ। ডিএম, এসপি, আইসি দেখবেন বিএসএফ-এর অত্যাচার যেন না হয়। অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। ফেডারেল স্ট্রাকচার মেনেই সাহায্য করবেন।''
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! এবার চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতাকে তলব CBI-এর! তোলপাড় বাংলা
এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিদের বলছি, এলাকায় যান। এটা একটা প্ল্যানিং আছে ওদের৷ এই প্ল্যানিং ভেস্তে দিতে হবে৷ এটা চ্যালেঞ্জ আমাদের৷ ভিআইপি-দের গাড়িতে যেন অস্ত্র উদ্ধার না হয়। কালো কালো পোশাক পরে এরা সব ঘুরে বেড়ায়৷ এর আড়ালেই সব কিছু চলে। আসল উদ্দেশ্য হল, একটু জায়গা দাও মা, গুন্ডামি করে আসি। নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। চক্রান্তকারীরা এসব করে। ছোট ঘটনা ঘটলেই ইন্টারফেয়ার করবে। তোমাদের জেলায় (মুর্শিদাবাদ) কিছু কমিউন্যাল সংগঠন আছে৷ NIA ঢুকেছে সেই জন্য। আমরা সব নজর রাখছি। একটা বড় প্ল্যানিং আছে গোটা দেশ জুড়ে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়।''
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি একই পথে হেঁটে ‘নভেম্বর-ডিসেম্বরে কী হয়, দেখুন’, এ রকম মন্তব্য করেছিলেন। হঠাৎ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে একটি রাজনৈতিক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এ রাজ্যে। সেই ইঙ্গিত বিজেপির নেতৃত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদ মাধ্যমে করছিলেন। বিরোধী দলনেতা সরকার পরে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতিও ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসনেরও সেই খবর অজানা ছিল না। সেই সূত্রেই এ নিয়ে পরপর দুদিন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।