খোয়াই কর্ম তীর্থ হাটে এদিন হঠাৎ চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হেলিপ্যাডে নেমে হঠাৎই এই হাট পরিদর্শন করতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিদর্শন করার সময় হাটে কেন এত ধুলো? তা নিয়ে জেলা শাসকের উপস্থিতিতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলায় বিক্রেতাদের থেকে কেমন বিক্রি হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে অনেক বিক্রেতাই অভিযোগ করেন এই হাটে প্রয়োজনীয় পর্যটকরা আসেন না। এই হাটে কোনও তেমন আকর্ষণীয় কিছু নেই বলেই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
advertisement
তখনই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে নির্দেশ দেন এই হাটে আদিবাসী নাচ থেকে শুরু করে বাউল শিল্পীদের দিয়ে যাতে গান করানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই হাট থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরেই সোনাঝুরির হাট। সোনাঝুরির হাটে অসংখ্য পর্যটকরা আসেন। কিন্তু এই হাটে পর্যটকরা আসেন না বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে অভিযোগ করেন অনেক দোকানি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেন সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন হাটে গিয়ে শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন স্থানীয় জিনিস দেখেন ও কেনেনও। পাশাপাশি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মনে আছে তো...? 'চার্টার্ড ফ্লাইট' স্মরণ করিয়ে সুকান্তদের তুমুল কটাক্ষ কুণালের!
শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্পের সব সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন নাকি সেই বিষয়েও জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অবশ্য এই কর্ম তীর্থ হাট থেকে বেরিয়ে মমতা সরাসরি চলে যান নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়িতে। প্রায় ৪০ মিনিট অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় বীরভূমের স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী এবং কয়েকজন আশ্রমিকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়