যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে পাঁচ দশকের পুরনো কৃষক সেতু। ফলে যে কোনও দিন বড় বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল৷ বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ পাঁচ জেলার যোগাযোগ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কৃষক সেতু। ফলে কৃষক সেতু কোনও কারণে বন্ধ হলে চরম সমস্যায় পড়বেন রায়না, খন্ডঘোষ সহ দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সহ তিনজনকে মরণোত্তর ভারত রত্ন! ফের বড় ঘোষণা মোদির
বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদের উপরে রয়েছে এই কৃষক সেতু। ১৯৭৭ সালে এই সেতু তৈরি হয়। বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে যান বাহনের চাপ। ছুটছে বালি বোঝাই বড় বড় ট্রাক, ডাম্পার, যাত্রী বোঝাই বাস। জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়ে উঠেছে এই সেতু। ভারী গাড়ি গেলেই কেঁপে উঠছে সেতু। গা জুড়ে ফাটল। ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
বছরের বেশিরভাগ সময়ই কৃষক সেতুতে চলে মেরামতির কাজ। এই সেতু বর্তমানে ভার বহনে অক্ষম বলে জানিয়ে দিয়েছে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও। এই অবস্হায় চার লেনের বিকল্প সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিল সরকার। তিন বছরে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।দামোদরের কৃষক সেতুর পাশে পূর্ব দিকে সাত নম্বর রাজ্য সড়কে বর্ধমান-আরামবাগ রোডের উপরে ২৪৬ কোটি টাকা খরচে নতুন ‘শিল্প-সেতু’ গড়ে উঠবে বলে রাজ্য বাজেটে জানানো হয়েছে।
তিন বছরের মধ্যে ৬৪০ মিটার লম্বা সেতুটি তৈরি হবে। প্রথম বছরের কাজর জন্য মিলবে ১০০ কোটি টাকা। নতুন সেতুর জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ বা কিনতে হবে না। এমন কি, সংযোগকারী রাস্তার জন্যও পর্যাপ্ত জমি নদীর দু’পাড়ে রয়েছে। ওই সেতুর আগে ইডেন ক্যানেলের উপরেও আরও একটি সেতু তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
