আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই
আরও অভিযোগ, হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা নির্দিষ্ট পোশাকবিধি মানেন না। তাঁদের পরিচয়পত্র নেই। কে হাসপাতালের কর্মী তা চিহ্নিত করা কঠিন। হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডেও না কি পুরুষদের দাপাদাপি ৷ শুধু তা-ই নয়, ওয়ার্ডে ঢুকে তাঁরা বসেও থাকছেন, আড্ডাও মারছেন এমনই জানা যায় ৷ প্রতিবাদ জানিয়েও মিলছে না সুফল৷ সেই ছবি ধরা পড়ল কুলতলি ব্লক হাসপাতালে৷ শুধু মহিলা রোগীরাই নন, নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন কুলতলি ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও ৷
advertisement
হাসপাতালে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই ৷ হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারে সিভিক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও সবসময় তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না ৷ রোগীর সঙ্গেই জোর করে হাসপাতালে ঢুকে যান অনেকে ৷ রাত-বিরেতেও অচেনা-অজানা মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে ৷ ফলে আতঙ্কে রয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে আরম্ভ করে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একমাত্র চিকিৎসার অন্যতম ভরসার জায়গা কুলতলি ব্লক হাসপাতাল ৷ প্রতি দিনই দিন ও রাতে বহু মানুষই আসেন চিকিৎসা করাতে ৷ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর সঙ্গে একাধিক লোক আসেন ৷ অনেক পুরুষই এসে ফিমেল ওয়ার্ডে বসে বা শুয়েও থাকেন ৷ ফিমেল ওয়ার্ডের রোগীরাই জানাচ্ছেন তাঁরা আতঙ্কিত ৷ পুরুষদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও তাঁরা শোনেন না বলে অভিযোগ ৷ আরজি কর কাণ্ডের পরেও হাসপাতালে এই ভাবে ফিমেল ওয়ার্ডে অবাধে পুরুষ ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত সকলেই ৷
সুমন সাহা