তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালাচ্ছে বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগ। ডিএফও অভিজিৎ কর বলেন, সঙ্গিনী লেপার্ডের খোঁজ চলছে পুরোদমে। তবে এখনও পর্যন্ত হাতে কিছুই আসেনি। বৃষ্টি হয়েছে বলে পায়ের ছাপও ধুয়ে গিয়েছে।
advertisement
ইতিমধ্যেই বন দফতর থেকে সতর্কতা মাইকিং করা হয়েছে এলাকায়। বলা হচ্ছে, জঙ্গলে থাকতে পারে হিংস্র জন্তু, অযথা জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে বন দফতরের তরফে। বাচ্চাদের জঙ্গলের কাছে যেতে বারণ করা হচ্ছে। এমত অবস্থায় মৃত লেপার্ডটির ময়নাতদন্ত হলে জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
বহু বছর হল এমন জন্তুর দেখা মেলেনি বাঁকুড়া জেলায়। তবে এখন এল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তরে ডিএফও জানান, কোথা থেকে এসেছে তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বাঁকাদহ থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতায় পাওয়া গিয়েছে বাঘের পায়ের ছাপ, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে সেটা বাঘের পায়ের ছাপ নাকি লেপার্ডের পায়ের, সেটা নিশ্চিত হয়নি। তা যাচাই করে দেখতে ইতিমধ্যেই বন দফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। তবে কি বাঁকুড়ায় মৃত পুরুষ লেপার্ডের সঙ্গিনী পৌঁছে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর? প্রশ্ন উঠছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবার আসা যাক মৃত লেপার্ডের দিকে, মৃত্যুর কারণ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্পিড লিমিট না মেনে দ্রুত বেগে চলমান কোন যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে বনকর্মীদের মনে। তবে কি ধীরে ধীরে বাঘ থাকার উপযোগী হয়ে উঠছে বাঁকুড়ার জঙ্গল? যদিও এর উত্তর এখন পরীক্ষা সাপেক্ষ।





